আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
reshown by
আসসালমুআলাইকুম,কেমন আছেন সায়েখ? । আমার ৪ টা প্রশ্ন আছে, দয়া করে উত্তর টা জানাবেন মহান আল্লাহর রহমতে।

১: গ্রাম থেকে প্রয়োজনে ঢাকা যাওয়ার সময় লঞ্চে, বাসে উঠার সময় অনেক মানুষ থাকে, লঞ্চে,বাসে উঠার সময় মেয়েদের সাথে ছেলেদের ছোঁয়া লাগতে পারে যেমন হাতের ডেনায়,পায়ে ছোঁয়া লাগে।সাবধানে থাকার পর ও ছোঁয়া লেগে যায়। কিন্তু ইচ্ছে করে কোনো মেয়ে যদি কারো সাথে ছোঁয়া না দেয়,আর সেই মেয়ে সাবধানে থাকে,আর সেই মেয়ে মহান আল্লাহর রহমতে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করে আসে বাসায় থেকে যাতে ঢাকা যেতে কোনো সমস্যা না হয়,কোনো পর পুরুষের সাথে ছোঁয়া না লাগে,তারপরও যদি না অনিচ্ছাতে ছোঁয়া লেগে যায় তখন কি তার গুনা হবে? তার কি করা উচিত তার অনিচ্ছায় ছোঁয়া লাগলে? সে কি করলে মহান আল্লাহর রহমতে পর পুরুষের থেকে বেঁচে চলতে পারবে? তার তো প্রয়োজন ছিল ঢাকা যাওয়ার,অপ্রয়োজনে সে ঢাকা যায় নাই মহান আল্লাহর রহমতে।

২: কোনো মুসলিম মেয়ে কি কোনো প্রয়োজনে পর পুরুষের নাম বলতে পারবে? , যেমন একটা স্কুল এর নাম শেখ কামাল স্কুল, ওই স্কুল এর কাছে একটা বাসায় যেতে হবে কিন্তু গাড়িচালক বাসা চিনে না , তখন কি গাড়িচালককে বলতে পারবে শেখ কামাল স্কুল এর ওখানে যাবো? বললে কি গুনা হবে?

 ৩: একটা বাজারের নাম আনন্দ বাজার , এই বাজার টা আনন্দ নামের একটা পুরুষের নামের,যদি মুসলিম মেয়েকে কোনো কারণে বাজারের নাম বলার দরকার হয় তাহলে কি বলতে পারবে? বললে কি গুনা হবে?

৪: যদি কোনো মুসলিম মেয়ের জন্য পর পুরুষের নাম বলা জায়েজ থাকে কিন্তু তার স্বামী তাকে কোনো পর পুরুষের নাম বলতে নিষেধ করে তাহলে কি সে  কোনো পর পুরুষের নাম বলতে পারবে? বললে কি গুনা হবে?

1 Answer

0 votes
by (63,240 points)
ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাবের প্রস্তুতি চলছে।  অতিদ্রুত  জবাব পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। ধর্য সহকারে অপেক্ষা করার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ। 


প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে।

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (24 points)
আসসালমুআলাইকুম শায়েখ, আমার প্রশ্নের উত্তর তো এখনও দিলেন না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...