বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
■ মৃত
ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তির সাথে ক্রমান্বয়ে চারটি হক রয়েছে।
১. অপচয় ও
কার্পণ্য ছাড়া তার দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা।
২. অবশিষ্ট
সম্পদ থেকে তা ঋণ পরিশোধ করা। (যদি ঋণ থাকে)
৩. ঋণ পরিশোধের
পর অবশিষ্ট সমুদয় সম্পদের এক তৃতীয়াংশ দ্বারা অসিয়ত পূরণ করা। (যদি শরীয়ত সম্মত
অসিয়ত করে থাকে।)
৪. তারপর অবশিষ্ট সম্পদ তার ওয়ারিশদের মাঝে ফারায়েজ মোতাবেক বন্টন করা হবে।
মৃত ব্যক্তির ছেলে ও মেয়ে একসাথে থাকলে তাদের মিরাস
সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা
বলেন-
يُوصِيكُمُ ٱللَّهُ فِىٓ
أَوۡلَـٰدِڪُمۡۖ لِلذَّكَرِ مِثۡلُ حَظِّ ٱلۡأُنثَيَيۡنِ
“আল্লাহ
তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে নির্দেশ দিচ্ছেন, এক ছেলের জন্য দুই মেয়ের অংশের সমপরিমাণ।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির মা সমস্ত সম্পদের ছয়ভাগের
এক ভাগ পায়। আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَلِأَبَوَيۡهِ لِكُلِّ وَٲحِدٍ۬
مِّنۡہُمَا ٱلسُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ۬
আর তার মাতা পিতা
উভয়ের প্রত্যেকের জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ সে যা রেখে গেছে তা থেকে, যদি তার সন্তান থাকে।
ঈসালে সওয়াব সম্পর্কে
জানুন- https://ifatwa.info/27174/?show=27174#q27174
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মৃত
ব্যক্তির জামা কাপড়, ব্যাগ, জুতার বর্তমান
দাম হিসেব করে যা হয় তা ১০ হাজার টাকার
স্বর্ণের দামের সাথে যোগ করে মৃত ব্যক্তির ওয়ারিসদের মাঝে (অর্থাৎ কন্যা, পুত্র ও মা) বন্টন করা হবে।
২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির মা
স্বর্ণের থেকে ১৬৬৬.৬৬ টাকার মত ও জামা কাপড় থেকে কিছু পাবে। এটা অবশ্যই তার কাছে
পৌছে দিতে হবে। কারণ এটা এখন তার সম্পদ।
৩. মৃত ব্যক্তির জন্য নফল নামাজ ও রোজা এবং দুআ দরুদ পড়ার সময় তার কাছে সওয়াব পৌছানোর
নিয়ত করলেই হবে, মুখে উচ্চারণ করে বলা জরুরী
নয়। যেমন এভাবে বলতে পারে- হে আল্লাহ! এই নফল রোজার যা সওয়াব হয় তা ঐ মৃত ব্যক্তির
আমলনামায় পৌছে দিও।
উল্লেখ্য যে, একজন সন্তানের তার মৃত পিতা মাতার জন্য
করণীয় হলো, নফল নামাজ, রোজা, নফল কুরবানী, দান সদকাহ, নফল হজ্ব ইত্যাদি করে তাদের আমলনামায় বখশিয়ে দেওয়া।