আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
১)ধরুন,কোন লোক চিকিৎসকের কাছে গেল চিকিৎসার উদ্দেশ্য নিয়ে।
তার মনভাব এমন ছিল যে চিকিৎসক এর কাছে গেলে চিকিৎসকই তার অসুখ ভালো করে দিবে।মানে যে রকম ভরসা করলে শিরক হয়,সেরকম ভরশা ছিল চিকিৎসক এর উপর।

এরপর সে প্রেসক্রিপশন নিয়ে বাসায় আসার পর মনে হইল যে এভাবে তো চিকিৎসক এর উপর ভরসা করা ঠিক হয় নি।

মনে করা উচিত ছিল যে আল্লাহই শিফা দিবেন চিকিৎসক এর উসিলায়।
তখন সে তাওবা করল।

এখন কি সে ওই প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা যায়েজ হবে??


২)অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনার পরেও মুশরিক
এই আয়াতের অর্থ বুঝছি না


৩)ধরুন আমি পরীক্ষায় দুই তিনটা প্রশ্ন দেখে দেখে লিখলাম। কেননা আমি ভাবলাম যে আমি না দেখে দেখলে আমি নাম্বার কম পাব, এই চিন্তা কি শিরক হবে??
by (18 points)
সুরা ইউসুফ 
আয়াত ১০৬

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
সবকিছুর খালিক ও মালিক,আল্লাহ তা'আলা। শেফা দানকারীও আল্লাহ তা'আলা। প্রশ্নে বর্ণিত আকিদা বিশুদ্ধ নয়, তবে এখানে শিরক হবে না।কেননা মু'মিনের অন্তরে আল্লাহর নাম অবশ্যই থাকে। 
(২)
"অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনার পরেও মুশরিক" এটা কোন সূরার অংশ? সেটা আমাদেরকে জানাবেন।
(৩)
https://www.ifatwa.info/539 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নকল করা, জালিয়াতি করা ইত্যাদি নাজায়েয ও হারাম।চায় তা ক্রয়-বিক্রয়ে হোক বা পরীক্ষায় হোক সর্বাবস্থায় ই নাজায়েয।
যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ قال،قال رسول اللّٰه 
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣَﻦْ ﻏَﺶَّ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨِّﻲ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ধোকা দিবে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১০২)

বিশেষকরে পরীক্ষায় নকল করার অপরাধ এবং তার অপরাধবোধ দীর্ঘমেয়াদী।শায়েখ উসাইমিন রাহ. এটাকে কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত করেন।কেননা এই নকলকৃত পরীক্ষার উপর ভবিষ্যৎ জীবনের অনেক কিছু নির্ভর করে থাকে।সুতরাং মূল ভিত্তিতে ধোকা থাকলে তার শাখাপ্রশাখায় এর বয়ে যাওয়া ইতিবৃত্ত ধোকার মধ্যেই থাকবে।
(অাল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক)

মানুষ পরীক্ষায় নকল করে সাধারণত নিজ পরিবারবর্গ বা বন্ধুবান্ধবকে খুশী করার জন্য।নিজের ব্যক্তিত্বকে সমাজে প্রতিষ্টিত করার জন্য।
অথচ হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻤﺲ ﺭﺿﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺴﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺃﺳﺨﻂ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ )
যে ব্যক্তি মানুষের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহর অসুন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়,আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন,এবং মানুষদেরকেও তার উপর অসন্তুষ্ট করে দেবেন।সহীহ ইবনে হিব্বান-২৭৬

হযরত ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : " ﺍﻟﺮﺿﺎ ﺃﻥ ﻻ ﺗﺮﺿﻲ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺴﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ " 
ইবনে মাসউদ রাযি বলেন,সন্তুষ্টি- তুমি আল্লাহর অসুন্তুষ্টি দ্বারা মানুষকে সন্তুষ্ট করতে পারবে না।
শু'আবুল ঈমান(বায়হাক্বী)-২০৯

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
পরীক্ষায় নকল করা গোনাহ। তবে নকল করলে শিরক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...