আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
156 views
in সালাত(Prayer) by (22 points)
কমলাপুরে অথবা এয়ারপোরটে মেয়েদের ওজু করার ব্যবস্থা ভালো নেই।ওয়াশরুমগুলো নোংরা+হাত মোজা পা মোজা এবং জিলবাব খুলে ওজু করা কষ্টকর। কাপড়গুলো ঝুলিয়ে রাখার আলাদা ব্যবস্থা ও নেই।  নামাজের জন্য ও আলাদা ব্যবস্থা নেই। আমার মাহরাম পুরুষ কোনো মসজিদে ও নিয়ে গিয়ে ব্যবস্থা করে দিতে দ্বিমত পোষণ করছেন।(উল্লেখ্য সে আমার ছোট ভাই)


আমার প্রশ্ন এই অবস্থায় কি আমার জন্য সফরে 'তায়ামমুম' করে 'বসে' কসরের নামাজ আদায় করা যাবে? তখন কি এটা শুদ্ধ হবে?নাকি বাসায় এসে আবার এই নামাজগুলো ওজু করে দাঁড়িয়ে আদায় করতে হবে?


একি ভাবে ট্রেনে কিংবা বাসে কিবলা দিক বুঝতে না পারলে(বেশিরভাগ সময়ই বুঝা যায় না) 'বসে' নামাজ আদায় করলে  তা শুদ্ধ হবে কিনা?নাকি এটাও বাসায় এসে আবার পড়তে হবে?

এক্ষেত্রে আমার গুনাহ কতোটুকু?কবরে এর জন্য শাস্তি পেতে হবে? (এক্ষেত্রে:নামাজ শুদ্ধ না হলে এবং আবার বাসায় এসে ঐ নামাজ কাজা আদায় করলে)

1 Answer

0 votes
by (59,730 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আমরা https://ifatwa.info/12977/ ফতোয়াতে উল্লেখ করেছি যে

পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হচ্ছে পানি। আল্লাহ তাআলা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি প্রাকৃতিক নিয়মে সরবরাহ  করে রেখেছেন। তারপরও অবস্থার আলোকে যদি পানি না পাওয়া যায় বা কেউ অসুস্থ হয়ে পানি ব্যবহারে একেবারে অপারগ হয়, সে সময়ে গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করবে। 

 

এ মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَإِن كُنتُم مَّرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ مَا يُرِيدُ اللَّـهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلَـكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

অর্থ : যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করো, অতঃপর পানি না পাও, তাহলে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও। আল্লাহ তোমাদের অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদের পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করো।(সুরা মায়েদা : ৬)

,

তায়াম্মুম করা কখন বৈধ?

 

১- পানির অনুপস্থিতিতে

আল্লাহ তাআলা বলেন, (فَلَمۡ تَجِدُواْ مَآءٗ فَتَيَمَّمُواْ) {অতঃপর পানি না পাও, তবে তায়াম্মুম করো।}

 

২- পানি থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করতে অপারগ হলে

 

যেমন অসুস্থ অথবা বৃদ্ধ ব্যক্তি যে নড়াচড়া করতে পারে না এবং তার কাছে এমন ব্যক্তিও নেই যে তাকে অজু করার ব্যাপারে সাহায্য করবে।

 

৩ - পানি ব্যবহার করার ফলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে

যেমন :

ক - অসুস্থ ব্যক্তি যদি পানি ব্যবহার করে তবে তার অসুস্থতা বেড়ে যাবে।

খ – প্রচন্ড ঠান্ডায় যদি পানি গরম করার মতো কিছু না থাকে এবং পানি ব্যবহার করলে অসুস্থতা বেড়ে যাবে এ ধারণার পাল্লা ভারি থাকে, এ অবস্থায় তায়াম্মুম করার অনুমতি রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক, প্রচন্ড ঠান্ডা থাকার কারণে তায়াম্মুম করে নামাজের ইমামতি করার পর, আমর বিন আস রাযি. এর কাজকে নাকচ করে না দেয়া এ ক্ষেত্রে প্রমাণ। (বর্ণনায় আবু দাউদ)

 

গ - কোনো ব্যক্তি যদি পানি থেকে দূরে কোথাও অবস্থান করে এবং তার সাথে পান করার মতো সামান্য পানি থাকে আর অন্য পানি হাজির করতে অপরাগ হয়।


 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


১. প্র্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তায়াম্মুম করা জায়েজ হবে না। কারণ উভয় স্টেশনে ওজু করার জন্য পানির ব্যাবস্থা আছে। তা ছাড়া দাড়িয়ে নামাজ পড়তে সক্ষম থাকা অবস্থায় বসে নামাজ পড়লে উক্ত নামাজ সহীহ হবে না।

২. উভয় স্টেশনে মহিলাদের জন্য আলাদা ওয়াশরুম রয়েছে। সেখানে গিয়ে ওজু করে নিবেন। অথবা আশ পাশের কোথাও কোন আড়ালে বোতলে করে পানি নিয়ে গিয়ে ওজু করে নিবেন।

৩. উভয় স্টেশনে আলাদা নামাজের জায়গা আছে। সেখানে বা কোন আড়াল স্থানে কাপড় বিছিয়ে  অথবা বিশ্রামগার রুমে কোন এক কোনে কিছু বিছিয়ে নামাজ পড়ে নিবেন।

৪. দাড়িয়ে নামাজ পড়া, রুকু সিজদা করা যেহেতু ফরজ। তাই বাস বা ট্রেনের সিটে বসে নামাজ পড়লে উক্ত নামাজ বাসায় এসে আবার কাযা করা লাগবে । তবে যদি কখনো ট্রেন বা বাসে  এমন অবস্থায় হয় যে,  সিটে বসে নামাজ পড়া ছাড়া সম্ভবপর নয়। তখন সেখানে বসে বসে ইশারায় নামাজ পড়ে নিবেন এবং বাসায় এসে আবার উক্ত নামাজ কাযা করে নিবেন। তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা নামাজ না পড়ার গুনাহ দিবেন ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 201 views
0 votes
1 answer 206 views
...