بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/8929/
ফতোয়াতে করা হয়েছে যে,
ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার।
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর
হয়।
২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ,
মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে
পারেনা।
ভয়ংকর স্বপ্ন
দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব
আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে
হয়।
৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে
তা দেখতে পায়।
হাদীস শরীফে এসেছে
خَالِدُ بْنُ
مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا
سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا
رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ
مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو
سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا
هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.
আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
-কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ
যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু
ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে
পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন
এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১,
আহমাদ ২২৭০৭]
ومن رای انہ
مات…………ان رای شیئا من ہیئۃ الاموات کالغسل والکفن فذالک زیادۃ فی نقص دینہ (تعطیر
الانام ۲۹۱؍ج۲؍باب
المیم،موت،مطبوعہ مصر)
যার সারমর্ম হলো কেহ স্বপ্নে দেখে যে সে মারা গিয়েছে,,বা মৃতদের হালত,কাফন গোসল ইত্যাদি দেখে,তাহলে সেটি নিজের দ্বীনের কমতি মনে করতে হবে।
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ তে এসেছে যে স্বপ্নে মৃত মানুষ
দেখা এটি কবরের কথা স্বরন করে দেওয়ার জন্য। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ ২৯/১৬০)
প্রশ্ন কারী প্রিয় ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আমল বাড়িয়ে দিতে হবে, বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত,
যিকির আযকার,ফরজ সহ নফল নামাজ পড়তে হবে।সাধ্যানুযায়ী নফল দান ছদকাহ
করতে হবে। দ্বীনদার লোকদের সাথে উঠাবসা করতে হবে,পবিত্র হালতে থাকতে হবে,অহংকার থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
স্বপ্নের কথা কাউকে বলা যাবেনা। অন্যান্ন নফল ইবাদতের মত নফল রোজাও রাখা জায়েয আছে তবে নফল
হিসেবেই রাখতে হবে এটাকে ফরজ বা ওয়াজিব মনে করে করা যাবে না।