আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+3 votes
278 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (28 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম উস্তাদ।আমার একজন কে পছন্দ। উনিও আমাকে পছন্দ করেন।উনি দ্বীন পালনের চেষ্টা করেন।উনি শুধু বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন।আমিও সন্তুষ্ট চিত্তে রাজি হয়েছি।পরিবার কে জানিয়েছি।ওরা বলছে আমি সুন্দর উনার সাথে আমাকে যায়না।কখনো বিয়ে দিবেনা।এখন আমি উনাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করতে পারবোনা।এটা বলার পর আমার বাবা উনাকে হুমকি দিয়েছে।মিথ্যা কেস করবে।এখন কি করা উচিত?আমার মত আছে এ বিয়েতে।আমার বাবা মা ইসলামিক ও না।দ্বীনদারিতা দেখছে না।বাহ্যিক রূপ দেখতেছে শুধু। উনাকে জীবনের হুমকি দিয়েছে। উনিও আমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করতে রাজি না।জীবনের হুমকি দেয়াতে অনেক ভয় পেয়েছে কারণ উনার বাবা মা কে নিয়েও ভয় দেখিয়েছে।আমরা উভয় উভয়কে পছন্দ করি।আর বিয়ে করতে চাই।জীবনের ভয় দেখানোর কারণে অনেক অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি দুজন। আমাদের করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-


গোনাহের কাজ ব্যতীত ভাল ও উত্তম কাজে মাতাপিতা ও স্বামীর আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।

হাদীস শরীফে এসেছে,রাসূলুল্লাহ সাঃবলেন- 

لا طاعة في معصية إنما الطاعة في المعروف

গোনাহের কাজে কারো বশ্যতা স্বীকার করা যাবে না।(শরীয়ত যাদের বিধিনিষেধ মেনে চলার আদেশ দিয়েছে তাদের) আদেশ শুধুমাত্র বৈধ ও নেকীর কাজে মানা যাবে।(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)

অন্য এক হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
আল্লাহর অবাধ্যতায় কারো বিধিনিষেধ কে মান্য করা যাবে না।(মুসনাদে আহমাদ-১০৯৮)

চার মাযহাবের গ্রহণযোগ্য ফেকহী গ্রন্থ 'আল-মা'সুআতুল ফেকহীয়্যায়(২৮/৩২৭)' বর্ণিত রয়েছে,
"طاعة المخلوقين - ممّن تجب طاعتهم – كالوالدين ، والزّوج ، وولاة الأمر : فإنّ وجوب طاعتهم مقيّد بأن لا يكون في معصية ، إذ لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق" انتهى

শরীয়ত কর্তৃক যাদের বিধিনিষেধের অনুসরণ করা ওয়াজিব।যেমনঃ মাতাপিতা,স্বামী,এবং রাষ্ট্রীয় প্রধান বা তাদের আদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ।তাদের বিধিনিষেধ আমলে নেয়া তখনই ওয়াজিব যখন তা শরীয়ত বিরোধী হবে না।কেননা 'সৃষ্টিকর্তার নাফরমানীতে কোনো সৃষ্টজীবের অনুসরণ করা যায় না'(মর্মে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে)

মাতাপিতা ও স্বামীর আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা আদেশকৃত ব্যক্তিরবর্গের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-


★★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবা মার কথা মেনে নেওয়াই আপনার জন্য উচিত। 
এতেই আপনার জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে ফায়েদা,ইনশাআল্লাহ।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...