বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
কুরআনুল কারীম পড়া শুরু করার সময় ‘আউযু বিল্লাহ’ বলা।
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
فَإِذَا
قَرَأْتَ الْقُرْآنَ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
অতএব, যখন আপনি কোরআন পাঠ করেন তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে
আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করুন। (সূরা নাহল, আয়াত নং-৯৮)
“রব্বি ঝিদনী” পড়ার নির্দেশ স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
فَتَعَالَى
اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ ۗ وَلَا تَعْجَلْ بِالْقُرْآنِ مِن قَبْلِ أَن
يُقْضَىٰ إِلَيْكَ وَحْيُهُ ۖ وَقُل رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا
সত্যিকার অধীশ্বর আল্লাহ মহান। আপনার প্রতি আল্লাহর ওহী সম্পুর্ণ হওয়ার পূর্বে
আপনি কোরআন গ্রহণের ব্যপারে তাড়াহুড়া করবেন না এবং বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি
করুন। (সূরা ত্বহা, আয়াত-১১৪)
হাদীস শরীফে এসেছে-
[عن أبي هريرة:] كلُّ أمرٍ ذي بالٍ لا يبدأُ فيه ببسمِ اللهِ
الرحمنِ الرحيمِ أقطعُ
العظيم آبادي
(ت ١٣٢٩)، عون المعبود ١٣/٨٢ • حسن •
মর্মার্থ: আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। প্রত্যেক কাজ যা বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা
হয় না তা অসংপূর্ণ।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
লেখা পড়া শুরু করার নির্দিষ্ট কোন পন্থা কুরআন হাদীসে নেই। তবে কুরআনুল কারীম ‘আউযু বিল্লাহ’ বলে শুরু করতে হবে এটা আল্লাহ তায়ালা
নিজেই বলেছেন। তবে যেহেতু প্রত্যেক ভালো কাজ রাসূল সা. বিসমিল্লাহ বলে শুরু করতেন।
সেই হিসেবে বিসবিল্লাহ বলে শুরু করা যেতে পারে এবং পাশাপাশি যেহেতু “রব্বি ঝিদনী” পড়ার
নির্দেশ স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন। তাই এটা দ্বারাও পড়া শুরু করলে বিদআত হবে না।
তবে এটা এটা দ্বারা শুরু করা সুন্নত ওয়াজিব বা জরুরী কিছু মনে করা যাবে না।