বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/866 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন
ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ (اﻧْﺘَﻬَﻰ)
নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয। (আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯;
বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭).........
.........এ বিধান শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যে কিনা সাধারণ জীবনযাপন করতে পারছে না।এবং তার নিকট এছাড়া অন্য কোনো রাস্তাও নেই।তাই সবার বেলায় তা প্রযোজ্য হবে না। (জদীদ ফেকহী মাসাঈল ৪/৫৫)
আমাদেরকে স্বরণ রাখতে হবে যে,যেহেতু শরীয়ত ঐ ব্যক্তিকে প্রয়োজন পর্যন্ত অনুমতি দিয়েছে,বিধায় রুজিরোজগারের কোনো উপায় না থাকার শর্তে প্রয়োজন পর্যন্ত ই সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয হবে।সুতরাং কাউকে ঋণ দিয়ে সুদ গ্রহণ করা জরুরতের আওতাভুক্ত নয়। কেননা এক্ষেত্রে তার কাছে কিছু টাকা আছে, অন্য কিছু না থাকলেও অন্ততপক্ষে মূলধন তো অবশিষ্ট রয়েছে।ব্যাংক যদি টাকা না দিয়ে আপনাদেরকে বাকীতে পণ্য দিয়ে দেয়,যার মূল্য বাজার মূল্য থেকে বেশী থাকে, এবং ব্যাংক আপনাদের কিস্তিতে ঐ মূল্য বাবৎ টাকা প্রদানের সুযোগ দিয়ে দেয়,তাহলে এটা জায়েয হবে।যেমন আরব বিশ্বের কিছু ব্যাংকে এমনটা রয়েছে।(শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনাদের জন্য এভাবে ব্যাংকে টাকা রেখে সুদ গ্রহণ করা জায়েয মনে হচ্ছে না। বরং হয়তো আপনার বাবা উক্ত টাকাকে ব্যবসায় খাটিয়ে জীবনাতিপাত করবেন, কিংবা আপনার সাবালক ভাই (যদি থাকে) উপার্জন করে,আপনাদেরকে লালনপালন করবে, কিংবা আপনি পর্দাসম্মত হালাল কোনো চাকুরী করবেন।