আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (19 points)
আমার বাবা একজন সৎ মানুষ।  উনি কখনো মিথ্যা কথা বলা, সুদ ঘুষ এগুলোর সাথে জড়িতে নন। মিতব্যয়ী এবং আমাদের কখনো বিলাসিতার জীবনে রাখেন নি আলহামদুলিল্লাহ । উনি স্কয়ারে পেট বোতল সেক্টরে ইঞ্জিনিয়ার পদে ছিলেন। এছাড়া আয়ের অন্য কোন উৎস নেই। গত ৬ বছর হচ্ছেন রিটায়ার্ড করেছেন। রিটায়ার্ড এর পর পেনশনের টাকা ইসলামিক ব্যাংক এ রেখেছেন। প্রতি মাসে ইন্টারেস্ট এর টাকা দিয়ে সংসার ও দুই ভাই বোনের খরচ চলে। রিটায়ার্ড এর পর বাবা আর কিছু করতে পারেন নি। যেহেতু উনার ব্যবাসার অভিজ্ঞতা না থাকায় ব্যবসা করেন নি। আমি এবং আমার বড় ভাই দু'জন অনার্স পড়ছি ঢাকায়। আমি সরকারিতে এবং ভাই বেসরকারিতে। এতে আমার জন্য তুলনামূলক খরচ কম হলেও ভাইকে প্রতি সেমিস্টারে একটা মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। আমাদের অন্য কোনো আয়ের উৎস না থাকায় এবং বাবা কারো কাছে লোন বা ধার নিতে ইচ্ছুক না থাকায় এই টাকা জমা রেখেছেন। ভাই প্রথমদিকে টিউশনি করত এখন সে চাকরির চেষ্টা করছে। আর দাদার জমি এখনো ভাগ না হওয়ায় কিছু করতে পারছে না। আমি বিসিএস এর জন্য পড়াশোনা করতে চাচ্ছি।  কিন্তু বিসিএস এ পর্দা রক্ষা করে পরীক্ষা দিতে পারব কি না জানি না। আমি এবং ভাই কিছু করলে বাবা টাকা তুলে ফেলবে এরকম নিয়্যাত আছে। সেক্ষেত্রে শরীয়াহ আইনে আমার জন্য চাকরি করা এবং কি ধরনের চাকরি করা জায়েয হবে?

আমাদের জন্য যাকাত ও কুরবানি দেওয়া কি ফরয? যেহেতু ব্যাংক এ টাকা জমা আছে?

আমার বাবা সংসার চালাতেই বাধ্য হয়ে এই বয়সে টাকা ব্যাংক এ রাখছেন এতে কি বাবার গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/866 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন
ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ (اﻧْﺘَﻬَﻰ)
নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয। (আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯;
বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭).........
.........এ বিধান শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যে কিনা সাধারণ জীবনযাপন করতে পারছে না।এবং তার নিকট এছাড়া অন্য কোনো রাস্তাও নেই।তাই সবার বেলায় তা প্রযোজ্য হবে না। (জদীদ ফেকহী মাসাঈল ৪/৫৫)
আমাদেরকে স্বরণ রাখতে হবে যে,যেহেতু শরীয়ত ঐ ব্যক্তিকে প্রয়োজন পর্যন্ত অনুমতি দিয়েছে,বিধায় রুজিরোজগারের কোনো উপায় না থাকার শর্তে প্রয়োজন পর্যন্ত ই সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয হবে।সুতরাং কাউকে ঋণ দিয়ে সুদ গ্রহণ করা জরুরতের আওতাভুক্ত নয়। কেননা এক্ষেত্রে তার কাছে কিছু টাকা আছে, অন্য কিছু না থাকলেও অন্ততপক্ষে মূলধন তো অবশিষ্ট রয়েছে।ব্যাংক যদি টাকা না দিয়ে আপনাদেরকে বাকীতে পণ্য দিয়ে দেয়,যার মূল্য বাজার মূল্য থেকে বেশী থাকে, এবং ব্যাংক আপনাদের কিস্তিতে ঐ মূল্য বাবৎ টাকা প্রদানের সুযোগ দিয়ে দেয়,তাহলে এটা জায়েয হবে।যেমন আরব বিশ্বের কিছু ব্যাংকে এমনটা রয়েছে।(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনাদের জন্য এভাবে ব্যাংকে টাকা রেখে সুদ গ্রহণ করা জায়েয মনে হচ্ছে না। বরং হয়তো আপনার বাবা উক্ত টাকাকে ব্যবসায় খাটিয়ে জীবনাতিপাত করবেন, কিংবা আপনার সাবালক ভাই (যদি থাকে) উপার্জন করে,আপনাদেরকে লালনপালন করবে, কিংবা আপনি পর্দাসম্মত হালাল কোনো চাকুরী করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...