আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম
স্যার, অফিসে জুনিয়ররা অনেক ভুল করে। আর তখন অটোমেটিক তাদের উপর ধমক, অপমান, গালমন্দ করে ফলি। কিন্তু ইচ্ছা করে এটা করি না।এটা হয়ে যায় রাগে।কিন্তু পরে বুঝতে পারি যা করেছি বা বলেছি ঠিক করি নাই। ছেলেটা মনে কষ্ট পাইছে।আবার ভাবি তার কাছে আমার ক্ষমা চাওয়া উচিত।কিন্তু এটা তো অফিস আর সে জুনিয়র ক্ষমাও চাওয়া যাবে না। এসব ক্ষেত্রে করনীয় কি?

*** আর আফসোস হয়, কাজের জায়গা গুলো যেন কেমন।সকালে ফ্রেশ হয়ে ঢুকি, ভাবি কোন পাপ করবো না।কিন্তু পাপ অটোমেটিক আমাকে গ্রাস করে নেয়।।।

1 Answer

0 votes
by (583,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
না, এগুলো করবেন না।এগুলো করা কখনো উচিৎ হবে না।সুতরাং পরিহার করার চেষ্টা করুন।

মুসলমানদের চরিত্র এমন হতে পারবে না যে,তাদের কথাবার্তায় অনর্থকতা ও অশ্লীলতা থাকবে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلاَ اللَّعَّانِ وَلاَ الفَاحِشِوَلاَ البَذِيءِ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,মু'মিন কখনো দোষ বর্ণনাকারী, লা'নতকারী,অশালীন বাক্যালাপকারী এবং বেহায়া হতে পারে না।(সুনানু তিরমিযি-১৯৭৭)
সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের জন্য উচিৎ সকল প্রকার মন্দ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।এবং এর ধারেকাছেও না ঘেষা। কেননা যে ব্যক্তি সীমান্তরেখা বরাবর হাটবে,তার জন্য আশংকা থাকে যে সে সীমান্তরেখা পার হয়ে বিপথগামী হবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হযরত আনস রাযি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর দশ বৎসর খেদমত করেছিলেন,কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাঃ কখনো হযরত আনস রাযিকে তিরস্কার করেননি। অধিনস্তদেরকে কাজে মনযোগী করতে গালিগালাজ ব্যতিত অন্য রাস্তা অনুসরণ করা যেতে পারে।তাকে তার চাকুরী হারানোর ভয় দেখানো যেতে পারে।ইত্যাাদি ইত্যাদি। তবে গালিগালাজ করা যাবে না।

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...