আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
edited by
ifatwa সাইটে দেখলাম, মেডিকেলে পড়ার জন্য বোনস পেলে সেটাকে দ্রুত দাফন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটায় প্রশ্ন আছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে যে শিক্ষাব্যবস্থা, এখানে প্লাস্টিক বা এ জাতীয় বোনস এভেইলেবল না। আর আপনারা বলেছেন প্লাস্টিকের বোনস দিয়ে পড়তে। কিন্তু যেসব প্লাস্টিকের বোনস পাওয়া যায়, সেগুলো দিয়ে পড়াও যায় না। আমাদেরকে নিরুপায় হয়ে আসল বোনস দিয়েই পড়াশোনা করতে হয়। যেহেতু মেডিকেলের পড়াটাও খুব জরুরী। BIMS নামে একটা প্রতিষ্ঠান বোনস ডোনেট এর কাজ করে। মানে যার পড়া শেষ, সে এখানে ডোনেট করবে। এরপরের নতুন ব্যাচ এলে আবার তাদের কাছ থেকে বোনস নিবে। এমন সিস্টেম।
আমার প্রশ্ন হলো, প্রথমত, বোনস কিনে ফেললে বা BIMS থেকে ডোনেটের বোনস নিলে পরে পড়া শেষে সেটাকে দাফন করে ফেলাটা কতটুকু যৌক্তিক?? কারণ তাহলে তো পরবর্তী ব্যাচ বোনসই পাবে না পর্যাপ্ত সংখ্যক। যার ফলে আবার কবর থেকে লাশ চুরি এবং চড়া দামে কেনা বেচার ঘটনা বাড়বে। জুনিয়ররা পরবর্তীতে হয়তো কেনা ছাড়া বোনস পাবেই না। তখন হারাম বেচা কেনা বাড়বেই। আর এই শিক্ষাব্যবস্থা তো আমরা সাধারণ স্টুডেন্টরা চাইলেই পাল্টে ফেলতে পারবও না। তাহলে আমার কাছে থাকা বোনসটা দাফন করে দিলে তো সমস্যার সমাধান হয় না। এক্ষেত্রে আমি যদি জুনিয়রকে ডোনেট করি, সে আবার তার জুনিয়রকে দেয়। তাহলে বোনস চুরি বা কেনা বেচার ব্যাপারটা কমে যাবে না??
আর BIMS থেকে বোনস ফ্রিতে নেওয়ার শর্তই হলো পরের বছর আবার ওদেরক ফেরত দিতে হবে। তাহলে উনাদের থেকে বোনস নেওয়া যাবে না???
প্লিজ ব্যাপারটা বিস্তারিত বলবেন

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চিকিৎসার স্বার্থে প্রত্যেক মেডিকেল কলেজে একটি করে লাশ সংরক্ষণের অনুমতি ফুকাহায়ে কেরাম দিয়েছেন।যার দ্বারা উক্ত কলেজের সকল উপকৃত হবে।
প্রত্যেক ছাত্রর জন্য পৃথক পৃথক ভাবে লাশ বা হাড় সংরক্ষণের অনুমতি ফিকহে ইসলামিতে নেই।
একটা মুসলমান রাস্ট্রের জন্য আফসোস করতে হয় যে,এখন পর্যন্ত রাষ্ট্র এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছে না। অথচ বিষয়টা অতি জরুরী।

সুতরাং যদি মেডিকেলে একটি হাড় সেট থাকে,এবং সেটা উন্মোক্ত থাকে, সবাইকে দেখার সুযোগ দেয়া হয় তাহলে ব্যক্তিগত ভাবে হাড় সংগ্রহ করা কখনো জায়েয হবে না।যদি সে সুযোগ না থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীরা প্লাস্টিকের তৈরী হাড় দ্বারা নিজ নিজ প্রয়োজনকে পূর্ণ করার চেষ্টা করবে।যদি সেটাও সম্ভব না হয়,তাহলে শিক্ষার্থী ইস্তেগফারের সাথে হাড়কে সংগ্রহ করতে পারবে। কোনো ছাত্র যদি মৃতর হাড়কে ক্রয় করে নেয়,তাহলে তার প্রয়োজন পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথেই সে উক্ত হাড়কে দাফন করে দেবে। পূনরায় কারো কাছে বিক্রি করা বা কাউকে দান করা যাবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 1183
তবে যদি কোনো প্রতিষ্টান থেকে ভাড়ায় বা এমনিতেই কেউ হাড়কে ধার নেয়, তাহলে তার প্রয়োজন শেষে সেটাকে ঐ প্রতিষ্টানে ফিরিয়ে দিতে পারবে। এক্ষেত্রে দাফন করা লাগবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
শাঈখ, প্রতিষ্ঠানে একটি কঙ্কাল থাকলে সেটা নিয়ে পড়াশোনা সর্বোচ্চ স্কুল কলেজ পর্যন্ত হয়। কিন্তু মেডিকেলের পড়াশোনা কলেজের কঙ্কাল দেখে হয় না। নিজের পড়তে হয় ধরে ধরে। আর একটা মেডিকেল কলেজে 100-250 জন পর্যন্ত স্টুডেন্ট থাকে। সবার জন্য একটা কঙ্কাল উন্মুক্ত করে দিলেও লাভ নেই। সর্বোচ্চ হয়তো একটা কঙ্কাল দিয়ে কয়েকজন পড়াশোনা করতে পারে। কোনোভাবেই একটা দিয়ে 10/15 জনের বেশি তো সম্ভবই না। তাহলে এই ফাতওয়া টা কেমন হলো না?? আর দাফন করে দিলে পরের সমাধান টা কী হলো??? বরং সব দ্বীনি ছাত্ররাই যদি দাফন করে দেয়, তাহলে পরবর্তী ব্যাচের দ্বীনি ছাত্ররা বেদ্বীন কারো কাছ থেকে কেনা ছাড়া হাড়ই পাবে না!! তাড়াছা চাহিদা বাড়লে কঙ্কাল চুড়ির ঘটনাও বাড়বে। এভাবে হারাম বৃদ্ধি হবে না??!

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...