জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীস যয়ীফ।
এ জাতীয় আরো কিছু হাদীস মওযু'।
من قلم أظفاره يوم الجمعة وقي من السوء إلى مثلها موضوع - رواه الطبراني في " الأوسط " (50 / 1 من ترتيبه) عن أحمد بن ثابت فرخويه الرازي: حدثنا العلاء بن هلال الرقي حدثنا يزيد بن زريع عن أيوب عن ابن أبي مليكة عن عائشة مرفوعا. وقال: " لم يروه عن أيوب إلا يزيد، ولا عنه إلا العلاء، تفرد به فرخويه ". قلت: وهو كذاب. قال ابن أبي حاتم (1 / 1 / 44) : " سمعت أبا العباس بن أبي عبد الله الطبراني يقول: كانوا لا يشكون أن فرخويه كذاب وأورده الذهبي في " الضعفاء والمتروكين "، وقال: " قال ابن أبي حاتم: كذاب ". ومنه تعلم أن قول المناوي (4 / 518) فيه: " ضعيف ". فيه تساهل كبير، ولعله صدر منه بدون مراجعة. وإذا عرفت وضع الحديث، فمن الجهل البالغ الاستدلال به على سنية قص الظفر يوم الجمعة، كما فعل صاحب " تعاليم الإسلام " (ص 234) ، فقال تحت عنوان: " سنن الجمعة إحدى عشرة سنة ": " (5) تقليم أظفار اليدين والرجلين يوم الجمعة لقوله صلى الله عليه وسلم: من قلم ... " فذكر الحديث. وقد روي الحديث عن ابن عباس مرفوعا بنحوه، وسنده ضعيف جدا
অনুবাদঃ
যে ব্যক্তি জুম'আর দিনে তার নখ কাটবে, তাকে আরেক জুম'আহ পর্যন্ত মন্দ কর্ম হতে রক্ষা করা হবে।
হাদীসটি মওযু' ।
এটিকে ত্ববারানী “আলমুজামুল আওসাত” গ্রন্থে (১/৫০) আহমাদ ইবনু সাবেত ফারখাবিয়্যাহ আররাযী হতে, তিনি আলা ইবনু হিলাল রাকী হতে, তিনি ইয়াযীদ ইবনু যুরা'ঈ হতে, তিনি আইউব হতে, তিনি ইবনু আবী মুলাইকাহ হতে, তিনি আয়শা (রাঃ) হতে মারফূ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ হাদীসটিকে আইউব হতে শুধুমাত্র ইয়াযীদ বর্ণনা করেছেন আর ইয়াযীদ হতে শুধুমাত্র 'আলা বর্ণনা করেছেন। ফারখাবিয়্যাও এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি (ফারখাবিয়্যা) মিথ্যুক। ইবনু আবী হাতিম (১/১/৪৪) বলেনঃ আমি আবুল আব্বাস ইবনু আবী আব্দুল্লাহ ত্ববারানীকে বলতে শুনেছি তারা ফারখাবিয়্যার মিথ্যুক হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ করতেন না। হাফিয যাহাবী তাকে "আযযুয়াফা অলমাতরূকীন" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইবনু আবী হাতিম বলেনঃ তিনি মিথ্যুক।
এ থেকেই বুঝা যায় যে, মুনযেরী যে (৪/৫১৮) তার সম্পর্কে বলেছেনঃ তিনি দুর্বল। তিনি এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের শিথিলতা প্রদর্শন করেছেন। সম্ভবত তিনি যাচাই করা ছাড়াই এরূপ কথা বলেছেন।
হাদীসটি যখন মওযু' তখন এর দ্বারা জুম'আর দিনে নখ কাটা মর্মে দলীল গ্রহণ করা অজ্ঞতা। যেমনটি "তা'য়ালীমুল ইসলাম" গ্রন্থের (পৃঃ ২৩৪) লেখক করেছেন। তিনি 'জুম'আর সুন্নাত এগারোটি' এ শিরোনামে বলেছেনঃ (৫) জুম'য়ার দিনে দু’হাত এবং দু'পায়ের নখ কাটা সুন্নাত, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ বাণীর কারণে ...। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু তার সনদটি খুবই দুর্বল।
(০২)
বিনা ওযরে এমনটির সুযোগ নেই।
আপনাকে অবশ্যই রুকু সেজদাহ সহকারে আদায় করতে হবে।
তবে ওযর বশত এমনটি হলে জায়েজ আছে।
(০৩)
অসুস্থ ব্যাক্তির যদি ইশারা করেই নামাজ আদায় করতে হয়,অন্য কোনো উপায় যদি না পায়,সেক্ষেত্রে সে যতটুকু করতে পারে,ততটুকু অবশ্যই করবে।
হাত পুরোপুরি উত্তোলন করতে পারলে পুরোপুরি উত্তোলন করবে।
নতুবা যতটুকু সম্ভব হয়।
রুকু সেজদাহ না করতে পারলে মাথা সামান্য ঝুকাবে।
রুকুর তুলনায় সেজদায় মাথা একটু বেশি ঝুকাবে।
হাত বাধা কষ্টকর হলে হাত বাধতে হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪)
আরো জানুনঃ
(০৪)
উত্তেজনা বশত এভাবে হাত বুলোনা,যার দ্বারা সে মজা অনুভব করতে পারে,এটি শরীয়তে জায়েজ নেই।