আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+3 votes
520 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)

بِسْمِ الّٰلهِ الرَّحْمٰنِ الرَحِيْمِ

আসসালামু'আলাইকুম ওস্তাদ,

দুটি প্রশ্ন-

১) একজন মুসলিমের কি কি গুণ থাকলে তাকে মুমিন বলা যাবে? 

২) সালাফ কি? 

 

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)মুসলিম হল সেই ব্যক্তি যে ঈমান আনার পর ইসলামের বিভিন্ন হুকুম আহকাম মেনে চলে। আর মু'মিন হল সেই ব্যক্তি যে শুধুমাত্র ঈমান এনেছে। 
,
অর্থাৎ, মুমিন শব্দের চেয়ে মুসলিম শব্দ ব্যাপক অর্থবোধক।
,
আর ঈমান হচ্ছে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো- যেমন- আল্লাহ,ফেরেশতা,... আসমানী কিতাব, নবী রাসুল,শেষ দিবস, ভালো হোক কিংবা মন্দ তাকদীর তথা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ভাগ্য ও পুণরুত্থানে বিশ্বাস স্থাপন করা।
,
মুসলিম শব্দটি সালাম শব্দ থেকে উৎপত্তি যার শাব্দিক অর্থ শান্তি ও নিরাপত্তা বিধান করা। মুসলিম শব্দের অর্থ আত্নসর্মপনকারী।
,
পারিভাষিক অর্থেঃ
যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে মহান প্রতিপালক হিসেবে গ্রহন করবে, আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবেনা এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নির্দেশিত পথে নিজের জীবন চালাবে, হালাল কে হালাল বলে মানবে এবং হারামকে বয়কট করবে, সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, রোজা রাখবে, নিসাবের অধিকারী হলে যাকাত আদায় করবে এবং হজ্জে গমন করবে। এইসব গুনাবলীর অধিকারী হলে তাকে মুসলিম বলা হয়।
,
পবিত্র কুরান থেকে বিষদ জানি..
لَّيْسَ الْبِرَّ أَن تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَٰكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَىٰ حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا ۖ وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ وَحِينَ الْبَأْسِ ۗ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ
সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।
,
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ
মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে,
23:2
الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ
যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র;
وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ
যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,
23:4
وَالَّذِينَ هُمْ لِلزَّكَاةِ فَاعِلُونَ
যারা যাকাত দান করে থাকে
23:5
وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ
এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে।
23:6
إِلَّا عَلَىٰ أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ

হাদীস থেকে ব্যখ্যাঃ
আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ জু’ফী (র)…আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেন ঈমানের শাখা রয়েছে ষাটের কিছু বেশী। আর লজ্জা ঈমানের একটি শাখা।।সহীহ বুখারী ১ম খন্ড ঈমান অধ্যায় হাদীস নং ৮
,
প্রকৃত মুসলিম সে-ই যার হাত ও জিহবা থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে।। সহীহ বুখারী হাদিস নং ৯
এখানে হাত থেকে নিরাপদ বলতে কারো উপর আক্রমন করবেনা এবং জিহবা থেকে নিরাপদ বলতে কারো নামে কুৎসা গিবত মিথ্যা অপবাদ এবং অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ফল ফলাদি গ্রাস না করা বুঝানো হয়েছে।।
,
মুহাম্মদ ইবনুন মুসান্না (র)…আনাস ইবনে মালিক (রাঃ)থেকে বর্নিত, নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ তিনটি গুণ যার মধ্য থাকে সে ঈমানের স্বাদ পায়। ১.আল্লাহ ও তার রাসূল তার কাছে অন্য সব কিছু হতে প্রিয় হওয়া। ২. কাউকে খালিস আল্লাহর জন্যই মুহব্বত করা। ৩. কূফরীতে ফিরে যাওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মত অপসন্দ করা। সহীহ বুখারী হাদীস নং ১৫ ঈমান অধ্যায়।
,
আম্মার (রাঃ) বলেন, তিনটি গুণ যে আয়ত্ব করে, সে (পুর্ণ) ঈমান লাভ করে। ১. নিজ থেকে ইনসাফ করা। ২. বিশ্বে সালামের প্রচলন করা। ৩. অভাবগ্রস্হ অবস্হায়ও দান করা। সহীহ বুখারী হাদীস নং ২৬।
,
★★(০২) সালাফ শব্দটি আরবি যার বাংলা অর্থ পূর্বসূরি।

 আমরা সালাফ বলতে বুঝি সাহাবি, তাবেইন ও তাবে তাবেইন এবং তাদের উত্তরসুরীদের মহান কাফেলাকে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...