ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ
إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ
وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ۚ وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا
فَاطَّهَّرُوا ۚ وَإِن كُنتُم مَّرْضَىٰ أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ
مِّنكُم مِّنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً
فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ
ۚ مَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلَـٰكِن يُرِيدُ
لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে
উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং
পদযুগল গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা
রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ
প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা
তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি
দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু
তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে
তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর। (সূরা মায়েদা, আয়াত নং-৬)
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ تَوَضَّأَ فَغَسَلَ
وَجْهَهُ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ، فَمَضْمَضَ بِهَا وَاسْتَنْشَقَ،
ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ، فَجَعَلَ بِهَا هَكَذَا، أَضَافَهَا إِلَى
يَدِهِ الأُخْرَى، فَغَسَلَ بِهِمَا وَجْهَهُ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ،
فَغَسَلَ بِهَا يَدَهُ الْيُمْنَى، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ، فَغَسَلَ
بِهَا يَدَهُ الْيُسْرَى، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ
مَاءٍ فَرَشَّ عَلَى رِجْلِهِ الْيُمْنَى حَتَّى غَسَلَهَا، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً
أُخْرَى، فَغَسَلَ بِهَا رِجْلَهُ ـ يَعْنِي الْيُسْرَى ـ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا
رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ.
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে
বর্ণিত, তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন এবং তাঁর মুখমণ্ডল ধুলেন। এক আঁজলা পানি দিয়ে
কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে এরূপ করলেন অর্থাৎ
আরেক হাতের সাথে মিলিয়ে মুখমণ্ডল ধুলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে ডান হাত
ধুলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে বাম হাত ধুলেন। এরপর মাথা মাসেহ করলেন। এরপর আর
এক আঁজলা পানি দিয়ে ডান পায়ের উপর ঢেলে দিয়ে তা ধুয়ে ফেললেন। এরপর আর এক আঁজলা
পানি দিয়ে বাম পা ধুলেন। তারপর বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে এভাবে উযূ করতে দেখেছি’। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ১৪২)
ওজুর ফরজ চারটি। যথা: ১.
সমস্ত মুখমন্ডল একবার ধৌত করা। ২. দুই হাতের কনুইসহ
একবার ধৌত করা। ৩. দুই পায়ের টাখনুসহ একবার ধৌত করা । ৪. মাথার চারভাগের একভাগ মাসেহ করা।
ওজুতে এই ফরজগুলো আদায়
করলেও ওজু হয়ে যাবে এবং সেই ওজু দিয়ে নামাজও পড়তে
পারবে। এতে কোন গুনাহ হবে না।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ওজুতে যেহেতু নাকের নরম জায়গায় পানি পৌঁছানো ফরজ নয় বরং
সুন্নত। আবার যেহেতু নাকের নরম জায়গায় পানি পৌঁছালে আপনার সমস্যা হয়। তাই ওজুতে
নাকের নরম জায়গায় বা নাকে পানি না দিলেও ওজু হয়ে যাবে এবং এতে কোন গুনাহ হবে না
ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য যে, ফরজ গোসলের
সময় অবশ্যই নাকের নরম জায়গায় পানি পৌঁছাতে হবে অন্যথায় ফরজ গোসল হবে না।