আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in পবিত্রতা (Purity) by (9 points)
আসসালামু'আলাইকুম উস্তায।
ব্যবহৃত পানি দিয়ে তো ওযু হয় না, তো আমার এই ব্যবহৃত পানি নিয়ে কিছু সংশয় রয়েছে।

১.বালতিতে পানি ভরে সেখান থেকে মগ দিয়ে পানি তুলে অন্য কাজ করার পর ওই বালতির বেঁচে থাকা পানিই আবার মগে নিয়ে ওযু করলে কি সেটা ব্যবহৃত পানি বলে গণ্য হবে বা ওযু হবে না?
২.মগ দিয়ে ওযুর নিয়ম কী? আমি মগে পানি নিয়ে ওযু করার সময় মগের ভিতরে দুই হাতের তালু চুবিয়ে দুই হাতে পানি তুলে তুলে ওযু করি। এতে কি ওযু হয়? নাকি এক হাতে মগ রেখে আরেক হাতে মগ থেকেই হাতে ঢেলে ঢেলে ওযু করতে হবে?
৩.মগ দিয়ে ঢেলে(মগের ভিতরে হাত দিয়ে পানি স্পর্শ করা হয়নি) কোনো কাজ করার পর মগে পানি বেঁচে গেলে, এরপর ওই পানিকে কি ব্যবহৃত পানি বলা হয়? অর্থাৎ ওই পানির সাথে নতুন পানি মিশিয়ে ওযু করা যাবে না?
৪.ওযু গোসল বা হাত পা ধোয়ার সময় ব্যবহৃত তবে পবিত্র পানি যদি মগে/বালতিতে ছিটে যায়, বা একটুখানি ব্যবহৃত পানি মিশে যায়, এরপর কি ওই বালতি বা মগের সমস্ত পানি ব্যবহৃত পানি হয়ে যায়?
৫.ফরজ গোসলের জন্যও কি ওযুর মতো ব্যবহৃত পানির একই হুকুম? গোসল করার সময় তো পানি ঢালতে গেলে অনেক পানিই পুনরায় বালতিতে পরে, তাহলে কি গোসল হয় না?

আরো একটি প্রশ্ন, ৬. ওযু করার পর লজ্জাস্থানে কিছু বের হয়েছে সন্দেহ হলে নিশ্চিত হওয়ার জন্য শুকনো টিস্যু লজ্জাস্থানে স্পর্শ করে যদি দেখি টিস্যু শুকনো আছে অর্থাৎ কিছু বের হয়নি সেখানে, তাহলেও কি ওযু ভেঙ্গে যায়?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا سِمَاكٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ اغْتَسَلَ بَعْضُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فِي جَفْنَةٍ فَجَاءَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم لِيَتَوَضَّأَ مِنْهَا - أَوْ يَغْتَسِلَ - فَقَالَتْ لَهُ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنِّي كُنْتُ جُنُبًا . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْمَاءَ لَا يُجْنُبُ " . - صحيح

‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন এক স্ত্রী বড় একটি পাত্র থেকে পানি তুলে গোসল করেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশিষ্ট পানি দ্বারা অযু অথবা গোসল করতে আসলেন। স্ত্রী বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি তো জুনুবী ছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, পানি অপবিত্র হয় না।
তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ৬৫, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ নারীর ব্যবহৃত পানি দিয়ে উযু করার অনুমতি প্রসঙ্গে, হাঃ ৩৭০), হাকিম (১/১৫৯)। 

★শরীয়তের বিধান হলো, ব্যবহৃত পানি বলা হয় এমন পানিকে, যা ‘হাদাস’ (অপবিত্রতা দূর করা বা সওয়াব অর্জনের জন্য অজু ও গোসলে ব্যবহৃত হয়েছে। 

ব্যবহার কারীর শরীর থেকে আলাদা হওয়ার পর সেই পানি ব্যবহৃত পানি বলে গণ্য হবে।
ব্যবহারিত পানি দ্বারা অযু করলে পবিত্রতা হাসিল হবেনা।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
বালতিতে পানি ভরে সেখান থেকে মগ দিয়ে পানি তুলে অন্য কাজ করার পর ওই বালতির বেঁচে থাকা পানিই আবার মগে নিয়ে ওযু করলে সেটা ব্যবহৃত পানি বলে গণ্য হবেনা।
এক্ষেত্রে সেই পানি দিয়ে অযু হবে। 

(০২)
১ম ছুরতেও অযু হয়ে যাবে।
তবে ২য় ছুরতে নিয়ম পূর্ণ ভাবে মানা হয়েছে,তাই ২য় ছুরত অনুযায়ী মগ থেকে অযু করার পরামর্শ থাকবে। 

(০৩)
এক্ষেত্রে ঐ পানিকে ব্যবহৃত পানি বলা হবেনা। সুতরাং  ঐ পানির সাথে নতুন পানি মিশিয়ে ওযু করা যাবে।

(০৪)
ওযু গোসল বা হাত পা ধোয়ার সময় ব্যবহৃত তবে পবিত্র পানি যদি মগে/বালতিতে ছিটে যায়, বা একটুখানি ব্যবহৃত পানি মিশে যায়, সেক্ষেত্রে ঐ বালতি বা মগের সমস্ত পানি ব্যবহৃত পানি হয়ে যায়না।

এখানে মাসয়ালা হলো ব্যবহৃত পানি যাহা ছিটে মগে/বালতিতে মিশে গিয়েছে,এক্ষেত্রে ছিটে আসা পানির পরিমান মগে/বালতিতে পূর্ব থেকেই যে পানি ছিলো,সেই পানির পরিমান থেকে কম,তাই এখন ঐ মগে/বালতির পানি দিয়ে অযু/গোসল করা যাবে।

কোনো সমস্যা নেই।

(০৫)
হ্যাঁ, অযুর মতো একই হুকুম।

তবে শরীরের ঢালার পর সেই পানি যাহা বালতিতে আবারো পরে,এই পানির পরিমান বালতিতে থাকা পানির পরিমান থেকে কম হওয়ায় কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৬)
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে অযু ভেঙ্গে যাবেনা । 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 45 views
...