আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
306 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামুআলাইকুম

আমি আপনাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম আমারা গুনাহ বাঁচার জন্য দ্বীনের বুঝ আসার পর বিয়ে করেছিলাম আমরা পরে এটা বুঝতে পেরেছি এটা আমারা ঠিক করিনি কিন্তু বিয়ে করে ফেলায় আর তো কিছু করতে পারছিনা আর আমি এখন কঠিন সমস্যায় পরেছি আমার স্বামীর বাবা মা আমাদের বিয়ে সম্পর্কে জানে না তারপরও নিজ থেকে ছেলেকে জানিয়েছেন ছেলের পছন্দের কেউ কে কখনো তারা গ্রহণ করবে না আর তার উপর ছেলে এখনো পড়ালেখা করছে বলেই কোনো কিছু আর বলতেও পারছে না আর আমার এখন বিয়ের বয়স হয়েছে আমি এখন খুব খারাপ অবস্থায় আছি ,, আমি জানতে চেয়েছিলাম আমি হুজুর দ্বারা তাবীজ করতে পারবো নাকি,,,, আপনারা জানিয়েছেন ঈমান আকিদা ঠিক রেখে করা জায়েয হবে,,তাই আমি এই কাজে হাত দিয়েছি ,, এখন কথা হলো আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ যদি চাই তাহলে এগুলো কাজ করবে,,, আমার বিশ্বাসটাতে কি আমার আকিদা ঠিক আছে?আর  আমি একটা ভুল করেছি তা হলো যে হুজুর গুলো তাবীজের কাজ  তারা যে কিছু কথা জ্বীন দ্বারা জেনে যায় এগুলো বিশ্বাস করলে বড় শীরক হয় কারন গায়েবী জানার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর,, আমি আসলে এটা জানতাম না। আমি না জেনে ভুলটা করার কারণে আমি কি অনেক বেশি গুনাহগার হবো,,, আমার নিজের ভুল নিয়ে আমি অনেক বেশি অনুতপ্ত আমার এখন কি করা উচিত জানাবেন
কোনো শিশু বাচ্চার নাম রাখা হলে কি আবার বদলাতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (59,100 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা যা ইচ্ছা তাই করেন তিনি ইরশাদ করেন-

إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ ۩

আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন(সূরা হজ্ব, আয়াত নং-১৮)

 

আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।

এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।

যেমন নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-

আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,

ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ ) . . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেনযখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়তখন সে যেন পড়ে-  'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন'  এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযিতার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন। মিশকাত-২৪৭৭ (হাদীসের সনদের উপর মুহাদ্দিসগণের কালাম রয়েছে।)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

১. আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।

এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।

২. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার আকিদা ঠিক আছে।

৩. আপনি উক্ত ভুলের কারণে তাওবা করবেন। আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।

৪. হ্যাঁ, শিশু বাচ্চার নাম রাখার পর আবার তা বদলাতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...