আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
321 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
edited by
আস্সালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

১. ক্লিন সেভ করতে বাধ্য করলে ডিফেন্সে চাকরী করা যায়েজ হবে?

২. কোন নারীর ছোট ভাই যদি কোন জিনাহ ব্যাভীচারে লিপ্ত থাকে, এক্ষেত্রে কি তারও পাপ হবে?

৩. কোন নারী যদি বিবাহিত হয়(বাবা মারা যাওয়ার পর বিয়ে হয়েছিল), এক্ষেত্রে তার বেপর্দা চলাফেরা জন্য কবরে তার বাবাকে দাইয়্যুস হিসেবে শাস্তি  ভোগ করতে হবে?

৪. কোন পুরুষের ছেলে সন্তান জিনাহ ব্যাভীচারে লিপ্ত হলেও কি তাকে দাইয়্যুস সাব্যস্ত করা হবে?

৫. একজন নারী হিসেবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে বিসিএস দেয়া এবং যেহেতু সরকারী চাকরী তাই পুরুষ রোগীও দেখতে হবে, কতটুকু যায়েজ হবে?

৬. না-মাহরাম কাজিনদের সাথে কতটুকু মেশা যায়েজ হবে? তারা নিজ থেকে ইনবক্সে সাধারণ কথা বার্তার(প্রয়োজন ব্যতীত) জন্য নক দিলে রিপ্লাই দেয়া যায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (665,010 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
রুখসত থাকবে বলে অনেকেই বলে থাকেন।কেননা যারা জায়েয নাজায়েয মেনে চলে,তারা নিশ্চয়ই আমানতদার ও বিশ্বস্ত। আর বিশ্বস্ত লোকদের এ ডিপার্টমেন্টে অত্যন্ত প্রয়োজন।

(২)
নারীর পাপ হবে না।তবে নারীর দায়িত্ব হল, সাধ্যানুযায়ী  ভাইকে বুঝানো।যদি সাধ্যানুযায়ী না বুঝায়, তাহলে এ দায়িত্ব তরকের অবশ্যই গেনাহ হবে।

(৩)
বাবা মারা যাওয়ার পর মেয়ে বেপর্দা চলাফেরা করলে এজন্য বাবা দাইয়ুস হবে না।এবং বাবাকে শাস্তি পেতেও হবে না।

(৪)
 ছেলে সন্তান জিনাহ ব্যাভীচারে লিপ্ত হলে বাবাকে তখন দাইয়্যুস সাব্যস্ত করা হবে যখন বাবা সন্তানকে দ্বীন সম্পর্কে বুঝাবে না।যদি বাবা তার দায়িত্ব আদায় করে থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে বাবার কোনো গোনাহ হবে না।

(৫)
না মাহরাম কাজিনদের সাথে কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা জায়েয হবে না।হ্যা, বিশেষ প্রয়োজনে তাদের সাথে কথা বলা যাবে।তবে একাকি বা ইনবক্সে কখনো কথা বলা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (665,010 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...