আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
444 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালমুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ আজ ৪ মাস হলো আমি পুত্র সন্তানের মা হয়েছি। এই ৪ মাস যাবত আমার চুলে অযথা জট লেগে থাকে। আমি প্রতিদিন চুল আঁচড়ালেও জট লাগে আর না আঁচড়ালেও। ধীরে ধীরে আমার চুলের জট বেড়ে সম্পূর্ণ মাথায় ছড়িয়ে গিয়েছে এবং এটি ঘাড়ের অংশ থেকে কপালের অংশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এটি ছাড়াতে আমার অতিরিক্ত চুল ঝরে পড়ছে। এই জট শুধুই চামড়ার থেকে একটু দূরে লাগে কিন্তু নিচের ঝুলে থাকা চুলে লাগে না। যদিও এই ৪ মাস পূর্বেও আমার চুল রেশমি ছিল। উল্লেখ্য, ২ বছর পূর্বে বিয়ের কয়েক মাস আগে একবার হঠাৎ রাতে চুল বেঁধে ঘুমিয়েছিলাম, ঘুম থেকে উঠে দেখি বিশাল জট যা ছাড়াতে প্রায় ৪ ঘন্টা সময় লেগেছিল। এটি ছাড়ানোর পর আমার ২ চোখে ৭টি গোটা হয়েছিল এবং আমার আম্মুর বাম হাতে ব্যাথা এসেছে যা এখনও ভালো হয়নি বিভিন্ন ডক্টর দেখানোর পরেও। উল্লেখ করছি, আমার আম্মু আমার জট ছাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এই কয়েকমাসে আমার ঠিকমতো পবিত্র থাকা হচ্ছে না বিভিন্ন কারনে। আমি চেষ্টা করেও ঠিকমতো ক্লাস, মশক, নামাজ পড়তে পারছি না।

শাইখ, এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমি কিভাবে সবকিছুতে নিয়মিত হবো? আমার জট এর পেছনে কারণ কি হতে পারে? এটি পরিত্রাণের উপায় কি? যেহেতু চুল ঝড় যাচ্ছে, এটি ঠিক করার বা চুল গজানোর কোনো মাসআলা থাকলে জানাবেন।

জাযাকাল্লাহ খাইর।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
চুলে তেল ইত্যাদি দিয়ে আচড়ানোর কারণেই মূলত জট বাধে।এই জট বাধার আলাদা কোনো বৈশিষ্ট্য নাই।
সুতরাং আপনি জুট খুলতে পারবেন।আপনার চোখে গোটা বা আপনার মায়ের হাতে সমস্যা আল্লাহর হুকুমেই হয়েছে।জটচুলের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নাই।

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...