আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+8 votes
454 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম

আমি ইসলাম গ্রহনে মনস্থির করেছি সব কিছু জেনে বুঝে।
আমি কালেমা তাইয়্যেবাহ নিজের মুখে মুখে অনেকবার বলেছি। আমি কি এখন একজন মুসলিম নাকি আমার আমার কোনো মসজিদের ইমামের কাছে গিয়ে কালেমা শাহাদাত পড়ে একজন মুসলিম হতে হবে? আমি হিন্দুধর্মের সব কিছু কিছুদিন আগেই ত্যাগ করেছি। আমি কিছুদিন আগে হওয়া আল্লাহর জমিনে সবচেয়ে বড় শির্কের কারবার দুর্গাপূজাতে যাইনি একদিনের জন্যও। এমনকি ৪-৫ দিন আগে আরেকটা হয়ে গেলো না সেটাতেও যাইনি। আমি আল্লাহর জমিনে সবচেয়ে বড় শির্ক মানে দুর্গাপূজার আগে থেকেই প্রাণহীন, অসার, মিথ্যা দেব-দেবীগুলোর উদ্দেশ্য নিবেদন করা কোনো কিছুই খাইনি। আমি বাড়িতে দুদিন আগে বলে দিয়েছি আমি আর কোনোদিন কক্ষনো তোমাদের হিন্দুধর্মের কোনো অনুষ্ঠানে যাব না, কক্ষনো ওই মাটির মূর্তিগুলোকে দেওয়া খাবার আমি খাব না, কক্ষনো কোনো আচার-অনুষ্ঠান পালন করবো না। তবে আমি বলতে পারিনি যে আমি ইসলামকে গ্রহন করতে চাই। কারন, আমি যত নওমুসলিমদের সাক্ষাৎকার দেখেছি সবাই আমার থেকে অনেক বড়। আল্লাহ্ আমাকে তাদের তুলনায় অনেক আগেই আমাকে সঠিক পথের সন্ধান আমাকে দিয়েছেন। আমার বর্তমান বয়স মাত্র ১৬ বছর। আমি আমার প্রতিপালক, আমার সৃষ্টিকর্তা, আমার রব হিসেবে আমার আল্লাহকে সম্পূররূপে গ্রহন করেছি, যিনি এক, অদ্বিতয়, মহাপরাক্রমশালী এবং যার কোনো শরীক নেই। আমি আমার আল্লাহ প্রদত্ত এই মহাসত্যের সন্ধান প্রায় এক মাস আগে পেয়েছি একজন নওমুসলিমের সাক্ষাৎকার দেখা শুরু করার মাধ্যমে। আমার মন এখন আনচান করে আযানের শব্দ শুনলেই। ইচ্ছে করে যে আমিও সবার সাথে গিয়ে নামাজ পড়ি। তবে আমার পরিস্থিতি আমাকে নামাজ আদায় করতে দিচ্ছে না।

আমার বয়স এখন মাত্র ১৬। আমি নবম শ্রেনীতে পড়ি। আমার কোনো পারসোনাল রুম নেই যে আমি লুকিয়ে লুকিয়ে নামাজ পড়বো। আর যদি আমি পড়িও তাহলেও ওরা আমায় কিছুদিনের মধ্যেই ধরে ফেলবে। আমি আমার ক্লাসের টপ তিন জন স্টুডেন্টদের মধ্যে একজন। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাকে নিয়ে আমার বাবা-মায়ের স্বপ্নটা অনেক বড়। আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। আমি যদি ধরা পড়ে যাই তাহলে আমার প্লান করা সময়ের অনেক আগেই আমি ধরা পড়ে যাব। আমি ভেবে রেখেছি যে আমি যখন কলেজে থাকব তখনই আমি আমার সব সিক্রেট সবার আগে আমার মাকে তারপর সবাইকে বলবো। আমার বাবা একজন আদর্শ বাবা নন। আমার মা একজন আদর্শ মা। আমার মা আমার জন্য ছোটবেলা থেকেই অনেক কষ্ট করে আসছেন। আমি যদিও আমার মায়ের কাছ থেকে একটু বেশিই যত্ন পেয়েছি আমার প্রতি অনান্য বাচ্চাদের তুলনাতে। আমার মা বুকে স্বপ্ন বেঁধেছেন যে আমি আমার মায়ের সব কষ্ট, আমার পরিবারের সব দুর্দশা দূর করবো পড়াশোনা করে। তবে যখন সবাই জানতে পারবে যে আমি ইসলাম গ্রহন করেছি বিশেষ করে আমার মা জানতে পারবে যে আমি ইসলাম গ্রহন করেছি তখন কি হবে তা আমি জানিনা। তবে আমি আমার পরিবারের সাথে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবো না। কারন আমার প্রতিপালক এটা করতে নিষেধ করেছেন। আমি আমার ইনকাম সোর্সের ব্যাবস্থা করে রেখেছি। আমি যখন SSC পাশ করবো তখন এই ইনকাম সোর্সে কাজ করতে থাকবো। তবে আমার চিন্তা আমার বর্তমান অবস্থা নিয়ে। আমি জানি আমার নামাজ পড়া উচিৎ তবে আমি পড়তে পারছি না। ব্যপারটা সত্যি যন্ত্রণাদায়ক। তবে আমার মন সবসময় আমার আল্লাহর ইবাদত করার জন্য আনচান আনচান করতে থাকে। আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন এইযে আমার  এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমার কি করা উচিত? আমি কি নামজ পড়া শুরু করবো? যদি করি তাহলে কিন্তু ধরা পাড়ে যাব আমি। যদি না পড়ি তাহলে কবে করবো? আর কিভাবে করবো? আর একটা কথা আমি যদি ইশারায়ও নামাজ পড়ি তাহলেও কিন্তু আমি সময়মতো আমার নামজ আদায় করতে পারবো না। এটা অসম্ভব এখনকার মতো। আমার এখন কি করা উচিত? আর একটা কথা আপনারা প্লিজ একটু বলবেন যে আমি কি আমার এই পরিস্থিতিতে মসজিদে গিয়ে ইমামের সাহায্যে মুসলিম হবো নাকি আমি কালেমা তায়্যেবাহ পড়ে এখন একজন মুসলিম? সর্বপরি আমি কিভাবে হিন্দুর ঘরে থেকে আমার আল্লাহর ইবাদত করতে পারি ধরা না পড়ে? আশা করি উত্তরটা পাবো।
by (12 points)
+1
হে আল্লাহর বান্দা, আমি আপনাকে চিনি না তবে আপনাকে ইসলাম  বিষয়ে অনেক সাহায্য করার জন্য আপনি আমাকে massanger এ নক দিন যেহেতু আপনি একজন নতুন মুসলিম 
আমার Fb I'd হলো Jubaer Alam
আমাকে ফোন করতে পারেন ০১৮৮৮৩০৪৮৭২
আমি ও একজন মুসলিম
by
+1
মাশাআল্লাহ! আল্লাহু আকবার। 

আল্লাহ আপনার জন্য সহজ করে দিক। আমিন 
by (45 points)
আল্লাহু আকবার।  সাহাবীদের জীবন পড়েন যারা ইসলাম এ আসার পরে পরিবার এর চাপগুলো কেমন ছিলো। প্রত্যেকটি নওমুসলিম এর এমন আসে। তাই ইমান মজবুত করে নেন।  আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক।  আমার দ্বীনি ভাই 
by (13 points)
reshown by
আলহামদুলিল্লাহ..............
বেশি বেশি আল্লাহ ও ইসলাম নিয়ে চিন্তাভাবনা করার মাধ্যমে ইমানকে আরও শক্ত করতে থাকুন.....
আল্লাহ যদি চান,,,,, 
সফলতা আসবেই..... 

1 Answer

+2 votes
by (589,350 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/16130 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি ঐ নওমুসলিম পুরুষ হন,তাহলে ইসলাম গ্রহণের সাথে সাথেই উনার উপর ওয়াজিব হয়ে গেছে,কাফিরের সঙ্গকে পরিত্যাগ করে কোনো মুসলমান এলাকায় হিজরত করা এবং সেই শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নিজের ঈমান আমলকে হেফাজত করার চেষ্টা করা।

পরিচিত ও আশপাশের সমস্ত মুসলমানের উপর ওয়াজিব যে, উক্ত নও মুসলিমের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা।

যদি নও মুসলিম মহিলা হন,এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হন, তাহলে উনার উপর ওয়াজিব কোনো মুসলমান যুবককে বিয়ে করে,তার সাথে বসবাস করা।এক্ষেত্রে স্থানীয় ও পরিচিত মুসলমাদের উপর ওয়াজিব হল,উক্ত নও মুসলিম মহিলার সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি মুসলমান হয়ে গেছেন।মসজিদের ইমাম সাহেবেন নিকট গিয়ে আবার কালেমা পড়তে হবে না। আপনি যথাসম্ভব বর্তমানে আপনার ইসলামকে লুকিয়ে রাখুন। এখন প্রকাশ করবেন না। কলেজ লাইফে গিয়ে ইসলামকে প্রকাশ করবেন। এবং মুসলমান হওয়ার পর থেকে নিয়ে যত নামায আপনি পড়তে পারেননি, সেগুলোকে কাযা করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...