আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
384 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (115 points)
reshown by
একটি মেয়ের প্রশ্ন-

হিদায়ত পাওয়ার পর আমার মধ্যে আলহামদুলিল্লাহ একটু একটু করেও উন্নতি হচ্ছিলো।সামনের দিকে আগানোর চেষ্টা করছিলাম।তখন থেকেই মাসনুন আমল গুলা ঠিকমতো করার চেষ্টা করতাম।সেইটা অল্প হলেও।কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ ভাল থাকতাম।তবে আমি বেশি আমল করতে চাইতাম না।ওরকম একটা আগ্রহ আমার মধ্যে কাজ করতো না মানে বেশি বেশি আমল করার।আমার অলসতা কাজ করতো।শুধু এইসব ক্ষেত্রেই নয় দুনিয়াবি পড়াশোনার ক্ষেত্রেও আমার এতো পড়তে মন চাইতো না।এরপর আস্তে আস্তে আমল কমতে থাকে।এভাবে করে আমার সমস্যা ও শুরু হয়ে যায়।এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিলাম যে সকাল বিকাল এর আমল আর রাতের আমল টায় করতাম না!আমার আমলের দিক থেকে অর্থাৎ মাসনূন আমল গুলো,এছাড়া নফল নামায,কুরআন তিলাওয়াত এসব কম থাক্তো।নফল নামায তো পড়লেও ২রাকাত তাও সবসময় না।এরমধ্যে আমি এসব বাড়ায়ে চেয়েও পারছিনা।আমি কয়েকদিন ঠিক থাকি আবার কয়েকদিন ঠিক থাকিনা।চেষ্টা করি।আমলের প্রতি এরকম কম টান আমি রাখতে চাচ্ছিনা।একটা জিনিসের প্রতি সন্দেহ হচ্ছে আমার তা হলো কেউ আমাকে যাদু করছে নাকি! কিছুদিন আগে একটা তাবিজ পাওয়া গেছিলো আমাদের বাসার গেটের সামনে যেইটা আমার খালামনী ময়লার ব্যাগে ফেলে দেয়।আগে মাসনুন আমল কম করলেও আমি অনেক ভাল ছিলাম।কিন্তু যখন থেকে কমিয়ে দিয়েছি তখন থেকে মানসিক ভাবে আমি ঠিক নাই।ঠিক থাকি থাকিনা এমন।অসুস্থথতাও লেগ্ব থাকে। ঠিক হয় আবার শরীর খারাপ হয়।যদিও জটিল কোনো রোগ না।দুর্বলতা, সর্দি, জ্বর ক্লান্তিবোধ এসব।এছাড়া মেরুদণ্ড এর নিচের দিকে কেমন জানি ধরে থাকে। যিনা জাতীয় খেয়াল আসে।আমি যা আনতে চাইনা।।আমি এইটা বুঝতে পারছি না যিনা জাতীয় খেয়াল এমনেই কেমনে চলে আসে!আমি আউযুবিল্লাহ ও পড়ি।এছাড়া গানের প্রতি হিদায়ত এর আগে থেকেই তেমন একটা আসক্তি ছিলো না।এখনো নেই।তবে লাগে যে শয়তান আমাকে ওই পথে নিতে চায়।আবার নন মাহরাম এর দিকে চোখ চলে যায় অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও। মানে আমার তো নজর এমন ও উপরে রাখা উচিত না বা বেখেয়ালি উচিত না যে আমি নন মাহরাম এর দিকে চোখ যাবে।তাহলে আমার চোখেত সামনে নন মাহরাম পড়ে যাবে এভাবে উঁচু নজর করে রাখছি কেনো আমি!এছাড়া মানুষের প্রতি কুধারণা জন্মায়।আমি এইটা চাইনা তাও হয়ে যায়।এছাড়া রিয়ার নিয়ে ওয়াসওয়াসা হয়।আমি রিয়া করতে চাইনা।কিন্তু যখন ভাবি এইটা নিয়ে রিয়া হবে সেই কাজ টা আর করতে পারিনা।তখন মনটায় রিয়া মিশ্রিত হয়ে যায়।আমি অনেক কিছুই করতে চাইনা কিন্তু হয়ে যায়!!!!শয়তান আমাকে অনেক খারাপ ধারণা দেয় যা আমি চাইনা।কখনো কখনো শরীরে নখের আছড় ও পাই।আমি আলহামদুলিল্লাহ রাগ কনট্রোল করতে পারি।কিন্তু আমার বোনের ক্ষেত্রে আমি পারিনা।ওর মুখে মুখে তর্ক করে ফেলি।আমি আগে এইটা কনট্রোল করতে পারতাম।এখন পারিনা আমার নাফস টাও খুব খারাপ।আমল খুবি কম।অলসতা কাজ করে।আমি চাই প্রডাক্টিভ হতে!কিন্তু হেরে যায়। হেরে যাওয়া ঠিক আছে কিন্তু এভাবে এতো তাড়াতাড়ি কেমনে হেরে যাব!দুই দিন ঠিক থাকি আবার তিনদিন না!এইগুলো কি যাদুর প্রভাব হতে পারে??

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।

তাছাড়া আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,

(১) সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।

(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।

(৩) দু', জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

 

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 

দেখুন-১০৯৩

প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।

لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

 

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া। মদিনার খেজুর হলে ভালো।দেখুন-১৮১৬

(এলাজে কুরআনী-০৩)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

https://www.ifatwa.info/3467

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার। মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন। যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।

২. জাদুটোনা এবং জ্বীনের আছর থেকে বাঁচতে ঐ দু'আগুলির উপর আ'মল করলে অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা হেফাজত করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (115 points)
আমি কি যাদুগ্রস্থ?
by
আপনাকে কেউ যাদু করেছে কিনা প্রভৃতি বুঝার জন্য আপনাকে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক রুকিয়া করে দেখতে হবে, সাবধান কোনো কবিরাজের কাছে যাওয়া যাবে না। রুকিয়া শারীয়া করায় এবং এ সম্পর্কে জানা যায় এমন  বিশ্বস্ত লিংক দিচ্ছিঃ

1)  www.ruqyahbd.com এই ওয়েবসাইটে গেলে আপনি উনাদের facebook group and youtube channel সব লিংক পাবেন। তাছাড়া এই ওয়েবসাইটে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক রুকিয়ার বহু তথ্য ও পাবেন সেগুলো পড়তে থাকেন আস্তে আস্তে জেনে যাবেন আপনাকে কি করতে হবে।

2) উনাদের লিখা ইসলামী শরীয়া মোতাবেক একটা বই ও পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি যেটা পড়লে আপনি এই ধরণের ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকার উপায় শরীয়া মোতাবেক বিস্তারিত জানতে পারবেনঃ

বইয়ের নামঃ৷ রুকিয়াহ, লেখকঃআব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রকাশনীঃ মাকতাবাতুল আসলাফ।

আল্লহ আপনার জন্য সহজ করে দিন, আমিন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...