আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in সালাত(Prayer) by (61 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১) পুরো ইনকাম হারাম এমন ব্যক্তির নিকট পণ্য বিক্রয় করার হুকুম কী?
২) জোহর, মাগরিব ও ইশার ওয়াক্তে শেষের দুই রাকাত নফলের দলিল জানতে চাই।
৩) সুযোগ থাকুক বা না থাকুক মুসাফিরের জন্য জুমআর নামাজ পড়ার আবশ্যিকতা আছে?
৪) দারুল হারবে জুমআর নামাজ আদায় করার বিধান কী?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

(০১)
যতক্ষন পর্যন্ত এটা জানা না যাবে যে যেই সম্পদ আপনি তার কাছ থেকে নিচ্ছেন,সেটিই হারাম,ঐ সময় পর্যন্ত তার সাথে লেনদেন করা নিষেধ নয়।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১১/৩৭০)

إذا خلط الحلال بالحرام في البلد، فإنہ یجوز الشراء والأخذ إلا أن تقوم ولایۃ علی أنہ من الحرام في الأصل۔ (الأشباہ والنظائر ۱۴۸ کراچی، وکذا في فتاویٰ ابن تیمیۃ ۲۹؍۲۷۳)
সারমর্মঃ
যদি শহরে সম্পদ হালাল হারাম মিশ্রিত হয়,তাহলে বেচা বিক্রয়,টাকা গ্রহন জায়েজ আছে।
তবে যদি আসলটাই হারাম থেকে হয়,,,

তবে দারুল উলুম দেওবন্দ এর 39964 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে স্পষ্ট ভাবে ক্রেতার সম্পদ হারাম জানার পরেও বিক্রয় করলে সেই টাকা বিক্রেতার জন্য হালাল হবে।
তবে সতর্কতামূলক তার কাছে পন্য বিক্রয় না করাই উচিত । 

★প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির কাছে পন্য বিক্রয় করলে সেই টাকা গ্রহন হালাল হলেও স্পষ্ট জানার পরে এ জাতীয় ক্রয় বিক্রয় সতর্কতামূলক না করাই উত্তম।   

(০২)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যেই নামাজের কথা উল্লেখ করেছেন,এটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা  নামাজ।  

হাদিস শরিফে এসেছে, আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

مَنْ ثَابَرَ عَلَى اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ، أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ

যে ব্যক্তি দিবা-রাত্র বার রাকাত (সুন্নাতে মুআক্কাদা) আদায়ে অভ্যস্ত হয়ে যায় আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে রাখেন। চার রাকাত জোহরের ফরয নামাযের পূর্বে এবং দু’রাকাত জোহরের ফরয নামাজের পরে, দু’রাকাত মাগরিবের ফরয নামাজের পরে, দু’রাকআত ইশার ফরয নামাজের পরে এবং দু’রাকআত ফজরের ফরয নামাজের পূর্বে। (সুনানে নাসায়ী ১৭৯৫)

(০৩)
সুযোগ থাকুক বা না থাকুক মুসাফিরের জন্য জুমআর নামাজ পড়ার আবশ্যিকতা নেই।
তবে তার জন্য জুম'আর নামাজই উত্তম।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللّهِ ﷺ قَالَ: مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الْاخِرِ فَعَلَيْهِ الْجُمُعَةُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلَّا مَرِيْضٌ أَو مُسَافِرٌ أَوْ صَبِيٌّ أَوْ مَمْلُوكٌ فَمَنِ اسْتَغْنى بِلَهْوٍ أَوْ تِجَارَةٍ اسْتَغْنَى اللّهُ عَنْهُ وَاللّهُ غَنِيٌّ حَمِيْدٌ . رَوَاهُ الدَّرَاقُطْنِىْ

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার ওপর ও আখিরাতের ওপর ঈমান রাখে, তার জন্য জুমু‘আর দিনে জুমু‘আর সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা অবশ্য কর্তব্য। তবে অসুস্থ, মুসাফির, নারী, নাবালেগ ও গোলামের ওপর ফরয নয়। সুতরাং যারা খেল-তামাসা বা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে জুমু‘আর সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) হতে উদাসীন থাকবে, আল্লাহ তা‘আলাও তার দিক থেকে বিমুখ থাকবেন। আর আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, তিনি সুউচ্চ, প্রশংসিত।
দারাকুত্বনী ১৫৭৬, ইবনু আবী শায়বাহ্ ৫১৪৯, সুনানুল বায়হাক্বী আল কুবরা ৫৬৩৪, শু‘আবুল ঈমান ২৭৫৩,মিশকাতুল মাসাহিব ১৩৮০)

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
الظهر لهم رخصة فدل علی ان الجمعة عزيمة وهي افضل ..." الخ (٢/ ١٥٥
সারমর্মঃ
তার জন্য জোহরের নামাজ রুখছত আছে,তবে জুম'আর নামাজই উত্তম।

(০৪)
জুম'আর নামাজ আদায়ের শর্ত পাওয়া গেলে আদায় করতে হবে।
নতুবা নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 155 views
0 votes
1 answer 340 views
...