আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
709 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
১। অনেক সময় সহবাসের কিছুক্ষন পরেই গোসল করার প্রয়োজন হয়। অজু-গোসল এর নিয়ম মেনে গোসল করা কালিন সময় যদি মজি বের হয়, তা ধৌত করি পা ধুয়ে ফেলার আগে। তাহলে কি আবার আমাকে গোসল শেষে অজু করতে হবে?
২। অনেক সময় আবার গোসল এর পর ও মজি বের হয় সেক্ষেত্রে কি করনীয়?
৩। ঘন ঘন বায়ু বের হলে কিভাবে সবসময় অজু অবস্থায় থাকা যায়।  দেখা যায় অজু করে নামাজ পরা হল তার কিছুক্ষন পর বায়ু বের হয়। আবার অজু করলে ১-২ ঘন্টা পর পর হতে থাকে।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাবঃ-


হাদীস শরীফে ফরজ গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছেঃ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، عَنْ خَالَتِهِ، مَيْمُونَةَ قَالَتْ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم غُسْلاً يَغْتَسِلُ بِهِ مِنَ الْجَنَابَةِ فَأَكْفَأَ الإِنَاءَ عَلَى يَدِهِ الْيُمْنَى فَغَسَلَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا ثُمَّ صَبَّ عَلَى فَرْجِهِ فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِشِمَالِهِ ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ الأَرْضَ فَغَسَلَهَا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ صَبَّ عَلَى رَأْسِهِ وَجَسَدِهِ ثُمَّ تَنَحَّى نَاحِيَةً فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ فَنَاوَلْتُهُ الْمِنْدِيلَ فَلَمْ يَأْخُذْهُ وَجَعَلَ يَنْفُضُ الْمَاءَ عَنْ جَسَدِهِ . فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ كَانُوا لَا يَرَوْنَ بِالْمِنْدِيلِ بَأْسًا وَلَكِنْ كَانُوا يَكْرَهُونَ الْعَادَةَ  

মায়মূনাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জানাবাতের গোসলের জন্য পানি রাখলাম। তিনি পানির পাত্র কাত করে ডান হাতে পানি ঢেলে তা দু’বার বা তিনবার ধুলেন। এরপর লজ্জাস্থানে পানি ঢেলে তা বাম হাতে ধুলেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষে ধুয়ে নিলেন, কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, মুখমন্ডল ও দু’হাত ধুলেন। তারপর মাথায় এবং সমগ্র শরীরে পানি ঢাললেন। তারপর ঐ স্থান থেকে একটু সরে গিয়ে উভয় পা ধুলেন। আমি (শরীর মোছার জন্য) তাঁকে রুমাল দিলাম। তিনি তা গ্রহণ করলেন না বরং শরীর থেকে পানি ঝেড়ে ফেলতে লাগলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বিষয়টি ইবরাহীমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ সাহাবীগণ গামছা ব্যবহার করা অপছন্দ করতেন না, বরং তাঁরা (গামছা ব্যবহার) অভ্যাসে পরিণত করা অপছন্দ করতেন।

{বুখারী (অধ্যায়ঃ গোসল, অনুঃ একবার গোসল করা, হাঃ ২৫৭), মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ জানাবাতের গোসলের নিয়ম) উভয়ে আ‘মাশ সূত্রে। আবু দাউদ ২৪৫)}
,
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো  ফরজ গোসল আদায় করা প্রায় শেষ,শুধুমাত্র পা ধোয়া বাকি।এমন অবস্থায় যদি অযু ভেঙ্গে যাওয়ার কোনো কারন পাওয়া যা,তাহলে আবার নতুন করে প্রথম থেকে সম্পূর্ণ গোসল করতে হবে পবিত্র হওয়ার জন্য?

এ সম্পর্কে দু রকম বক্তব্য পাওয়া যায়,

*গোসলকে নবায়ন করতে হবে না।(সালেহ আল মুনাজ্জিদ)

*গোসলকে আবার নবায়ন করতে হবে।গোসলকে নবায়ন করতে হবে না বলে যে মতটি রয়েছে,এটাই যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে।
.
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পুরো গোসল আবার করবেন।
,
আরো জানুনঃ   

তবে কেহ যদি গোসল নবায়ন না করে,১ম মত অনুযায়ী আমল করে  শুধু পা ধৌত করে,তাহলে তার ফরজ গোসল আদায় হয়নি বলা যাবেনা।
হ্যাঁ পবিত্রতার জন্য তাকে অযু করতে হবে।

(০২)
মজি ধুয়ে ফেলে অযু করে নিবেন। 
,
সেই সময়ে অযু না করলে ইবাদতের আগে অযু করে নিবেন।

(০৩)
 এক্ষেত্রে প্রত্যেকবার অযু ভেঙ্গে যাওয়ার পরপরই অযু করা ব্যাতিত অন্য কোনো পন্থা নেই।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...