জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো, গুনাহ ত্যাগ করে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা। অতএব, দোয়া কবুল হওয়ার জন্য গুনাহ ত্যাগ করে মহান আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা উচিত। কারণ যারা নিজেকে বদলায় না, মহান আল্লাহও তাদের বদলান না।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা নিজেরা পরিবর্তন করে। আর কোনো সম্প্রদায়ের জন্য যদি আল্লাহ অশুভ কিছু ইচ্ছা করেন, তবে তা রদ হওয়ার নয়। এবং তিনি ছাড়া কোনো অভিভাবক নেই। (সুরা : রাদ, আয়াত : ১১)
,
★★দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে তারাহুরা করা যাবেনা,
অমনোযোগী হওয়া যাবেনা,আশা ছেড়ে দেওয়া যাবেনা।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে এবং এ কথা না বলে যে আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৩৪০)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কবুল হওয়ার পূর্ণ আস্থা নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করো, তোমরা জেনে রাখো যে আল্লাহ নিশ্চয়ই অমনোযোগী ও অসাড় মনের দোয়া কবুল করেন না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৭৯)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ধৈর্য হারাবেননা।
হয়তোবা এর মধ্যেই আল্লাহ তায়ালা আপনার কল্যান রেখেছেন।
বা ঐ দোয়ার বিনিময়ে মহান আল্লাহ তায়ালা আপনার জীবনে অন্য কোনো ভালো কিছু রেখেছেন।
বা আখেরাতে আপনি ভালো কিছু পাবেন।
হয়তোবা আল্লাহ তায়ালা আপনার এই স্বামীকেই দ্বীনদার বানাবেন।
,
সুতরাং আপনি এখন তার হেদায়াতের দোয়া, দ্বীনদার হওয়ার দোয়া করবেন।
,
আশা হারাবেননা,নিশ্চয়ই আপনি সফলকাম হবেন,ইনশাআল্লাহ।