জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
★শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি তার স্ত্রীকে তালাকের মাসয়ালা বুঝানোর জন্য তালাকের বাক্য ব্যবহার করে,এতে স্বামীর উদ্দেশ্য শুধু স্ত্রীকে তালাকের মাসয়ালা বুঝানো,তালাক দেওয়া উদ্দেশ্য না হয়,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
আল আশবাহ ওয়ান নাযায়ের গ্রন্থে আছেঃ
لو کرر مسائل الطلاق بحضرتہا، یقول في کل مرة أنتِ طالق لم یقع (الأشباہ والنظائر: ۱/۴۵)
সারমর্মঃ
কেহ যদি স্ত্রীর সামনে তালাকের মাসয়ালা বারবার বলে,(মাসায়েল বুঝাতে গিয়ে/মাসয়ালা বুঝানোর স্বার্থে প্রত্যেকবার "তুমি তালাক" বলে,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাকের এই মাসয়ালা ছোট ভাইকে বুঝানোর ক্ষেত্রে আপনার জন্য কোনো সমস্যা হবেনা।
আপনি নিঃসন্দেহে সেই আগের স্ত্রীকে বিবাহ করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।
,
(০২)
এ সংক্রান্ত আর কোনো প্রশ্ন করা আপনার উচিত নয়।
ওয়াসওয়াসা রোগ থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আপনার জন্য উচিত হলো তালাক সংক্রান্ত মাসয়ালা না পড়া।
এড়িয়ে চলা।
,
(০৩)
হ্যাঁ, আল্লাহর উপর ভরসা করে আপনি এগিয়ে চলুন।
আল্লাহ আপনার সহায় হবেন,ইনশাআল্লাহ্।
(০৪)
আপনার জন্য সেই কথা গুলি আর মনে করা উচিত নয়।
(০৫)
হ্যাঁ।
(০৬)
হ্যাঁ, আপনি এমনটি ভাবতে পারেন।
সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে পূর্ব নির্ধারিত।
,
(০৭)
হ্যাঁ, এখানেই বন্ধ হয়ে যান।
এ সংক্রান্ত আর কোনো প্রশ্ন করা আপনার উচিত নয়।
আবারো বলছি যে,ওয়াসওয়াসা রোগ থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আপনার জন্য উচিত হলো তালাক সংক্রান্ত মাসয়ালা না পড়া।
এড়িয়ে চলা।