আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
257 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (31 points)
আসসালামু ওয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, আমি কিছু স্বপ্ন প্রায় দেখি এবং গত কাল রাতে একটার  দিকে আমার আম্মুর ঘুম ভাঙে একটি স্বপ্ন দেখে সেটি আগে জানাচ্ছি,তিনি দেখছেন যে শাঈখ মিজানুর রহমান আজহারীকে শত্রুরা ঘিরে ফেলেছেন এবং উনাকে ফাসি দিবে বলে ব্যাবস্থা করেছেন আম্মু খুব জোরে কান্না করছিলো এবং মিজানুর হুজুর আম্মুর মাথায় হাত দিয়ে বললেন কান্না না করার জন্য যা হবে ভালো হবে.. আজকে শুনলাম উনাকে যুক্তরাষ্ট্রের যেতে দেওয়া হয়নি এবং একজন নাস্তিক উনাকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন..

আমার স্বপ্ন
প্রায় অনেক দিন আগে আমি দেখলাম দু জন ফেরেশতা (আল্লাহ ভালো জানেন)কালো পর্দায় আবৃত, যাদের পা জমিনে এবং মাথা আসমানে তারা আমার দিকে ইঙ্গিত দিলো এবং হাতের লাটি দ্বারা আকাশে স্পর্শ করলো এতে বজ্রপাত হয়ে আকাশ দু ভাগ হয়ে গেলো এবং ভেসে উঠলো একটি লিখা
"لا إله إلا الله محمد رسول الله"صلى الله عليه وسلم
এর ব্যাখ্যা কি এটি আমার প্রায় মনে পড়ে সচারাচর আমি স্বপ্ন মনে রাখতে পারি না তবে কিছু স্বপ্ন আমাকে অনেক ভাবায় আমি এর খারাপ কি ভালো বুঝতে পারি না

আমি একটি স্বপ্ন এর পর দেখি এটা নিয়ে আমার কিছুটা সন্দেহ আছে কারণ আমার আমল একদম কম আমি সবে কিছুমাস হলো দ্বীন প্রেকটিস করি তা ও অনেক গাফেলের সাথে। আমি দেখলাম মরুভূমিতে আমি কেউকে অস্তিরতার সাথে খুজছি আর কাঁদছি এমন সময় কেউ একজন আমাকে বললেন অই যে নবী মোহাম্মদ সাঃ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওইদিকে আমি উনার দিকে তাকালাম উনার পিঠ ছিলো আমার দিকে আমি শুধু উনার জুব্বার দিকে লক্ষ করতে পারলাম কারণ উনি লোক সমাবেশে দাঁড়িয়ে কথে বলছিলেন এর পর আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো..
আমি জানি শয়তান নবী মোহাম্মদ সাঃ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রূপ ধারণ করতে পারবে না কিন্তু আমার তো এমন কোনো আমল ও নেই.আমাকে এই নিয়ে সাহায্য করবেন এবং আমার ঈমান যেনো আরো মজবুত করতে পারি আমাকে নসিহা করবেন।

আরো একটি অদ্ভুত স্বপ্ন আমি বার বার দেখি❝আল করিয়া মাল করিয়া❞কেয়ামত হচ্ছে খুবই ভয়ংকর ভাবে আমি হয় খেলার মাঠে থাকি না হয় বাচ্চাদের সাথে থাকি না হয় বান্ধুবীর সাথে থাকি কিন্তু সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেলেও আমি সেইভ থাকি এবং আমার সাথে যারা থাকে আমি তাদের আগলেতে ব্যাস্ত হয়ে যাই,লাস্ট দেখেছি গত পশশু দিন যোহরের পর অযু অবস্থাথায় দেখছি আমি ক্রিকেট খেলছি এমন সময় ধ্বংস লিলা শুরু হলো এবং আমি আল্লাহর যিকির করে দৌড়াচ্ছি কিছুক্ষণ পর সব স্বাভাবিক হয়ে গেলো আর আমি আর আমার বান্ধুবি যার সাথে অনেক দিন যোগাযোগ নেই আমরা পার্কে রাইডে ছড়ছি এবং কেয়ামত কিভাবে মোকাবেলা করবো তা নিয়ে কথা বলছি রাইড টা ছিলো নৌকা
আমাকে সাথে কিছু নসিহা করবেন আমি ঈমান নিয়ে চিন্তিত.

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাবঃ-


ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,
হাদীস শরীফে এসেছে  
خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.
আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 
,
অন্য এক হাদীসে এসেছে 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যেখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এ জন্য আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করবে না। ( বুুুখারী ৬৯৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫১৪)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!   

প্রশ্নে উল্লেখিত সকল স্বপ্নই ভালো,আলহামদুলিল্লাহ।
আপনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবেন।

কোনো আমল না করলেও আল্লাহর সাহায্যে যে কেহ স্বপ্নে রাসুলুল্লাহ সাঃ কে দেখতে পারে।
আমল করলেই দেখা যাবে,নতুবা দেখা যাবেনা,বিষয়টি এমন নয়।
,
আপনি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর চেহারা দেখার লক্ষ্যে প্রত্যেহ বেশি বেশি দরুদ পাঠ করতে পারেন।
,     
নেক কাজের উপর চলার  এ পথ অব্যাহত রাখবেন।
আল্লাহ আপনার সহায় হোন,আমিন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (31 points)
আমিন আমিন আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল...
আল্লাহ আপনার ইলমের জ্ঞান আরো বৃদ্ধি করে দিক আমিন..
জাযাকাল্লাহ খাইরান উস্তাদ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...