আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
সম্মানিত শায়েখ,  আস সালামু আলাইকুম।
আমি ঢাকা একটি প্রাইভেট ভার্সিটি তে পড়াশোনা করি।  এজন্য আমি সেখানে ফ্লাটে থাকা হয় । এখন আমি বাসায় আসলে কসর নিয়ে একটু সমস্যা তে পড়তে হয়।  সেজন্য কিছু বিষয় জানার ছিলো।
প্রশ্ন ১: ঢাকা থেকে বাড়িতে যাবার সময় অথবা বাড়ি থিকে ঢাকা যাবার সময় কি আমাকে 77 কিলোমিটার পরে সালাত আদায় করতে হলে কসর করতে হবে?
প্রশ্ন 2: :  আমি ঢাকা যাবার সময় আমার বাড়ির লোকেশন থেকে 77 কিলোমিটার পরে গেলে আমার কসর শুরু হবে।   এটাকি আমার জেলা থেকে শুরু হবে নাকি আমার বাড়ি  থেকে শুরু হবে।  যেহেতু আমার জেলা আমার বাড়ি থেকে ৪০ কিলো দুরে।
প্রশ্ন ৩: একই ভাবে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার সময় ৭৭ কিলোমিটার পরে কসর শুরু হবে?
প্রশ্ন ৪: যখন ট্রেনে যাই তখন বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে যেতে হয়। এবং ট্রেনে সালাত আদায় করলে কেবলা ঠিক থাকেনা।  ওয়াক্ত চলে যাবার ভয়ে । সালাত আদায় করে নিয়ে পরে ওই একই সালাত যদি আমি দেহড়িয়ে নিই তাহলে কি আমার সালাত হয়ে যাবে।
প্রশ্ন 5:  সালাত দেহড়িয়ে নিবার সময় নিয়ত কি হবে।
হে আল্লাহ আপনার সন্তুষ্টি অর্জন এর জন্য যহর ওয়াক্ত এর .৪... রাকাত ফরজ সালাত দেহড়িয়ে আদায় করছি।  এমন ভাবে করলে হবে কিনা ।

প্রশ্ন ৬:  আমার ভার্সিটি তে সেমিস্টার ফ্রিস 23 হাজার টাকাও আসে কমও আসে।  আমার বাবার থেকে আমি ৩০ হাজার টাকা নিই।  বাবাকে বলেছি যে বেশি নিই।  টাকা আমার কাছে থাকে।  এগুলো আমি ইসলামিক কাজে সহ বিভিন্ন কাজে ব্যায় করি।  মাঝে মাঝে বাড়ি তেকে টাকা না দিতে পারলে এই জমানো টাকা আমি ভার্সিটি তে দিই।  অনেক সময় বাপের হেল্প করার জন্য এই জমানো টাকা তার দিই ।এগুলো আমি বাবার থেকে পারমিশন নিছি তিনি জানেও এগুলো।  আমি কোনো খারাপ কাজে টাকা ব্যায় করিনা।   এখন আমার এই টাকা কি নেওয়া বৈধ হচ্ছে কিনা।
প্রশ্ন ৭: যেহেতু হুরমত সম্পর্কে আমি কমবেশি আপনাদের থেকে জেনেছি।  মাঝে মাঝে আমার মাকে আমি বলি মাথায় তেল দিয়ে দিতে।  তিনি তেল দিয়ে দেন । এগুলো কি আমার জন্য জায়েজ আছে কিনা।

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

মুসাফিরের জন্য যোহর আসর ও ইশার ফরয নামায দুই রাকাত পড়া  (কসর) ওয়াজিবচার রাকাত (পূর্ণ পড়া) নাজায়েয,এতে সে গুনাহগার হবে । কারণ মুসাফিরের নামাযের বিধান হল কসর। ৭৭ কিলোমিটার থেকে বেশি দুরত্বে ১৫ দিনের চেয়ে কম সফরের নিয়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজ এলাকার সীমানা পার হওয়ার পর থেকে কসর করতে হবে।

 

আয়েশা রাযি. বলেন,

فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ

মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)

 

অপর হাদিসে এসেছে,

عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ – قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ

ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি  উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ এর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)

বিস্তারিত জানুনঃ 

https://ifatwa.info/7129/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!


১. ঢাকা থেকে যদি আপনাদের বাড়ীর দূরত্ব ৭৭ কি.মি. এর চেয়ে বেশী হয় তাহলে আপনি ঢাকার এলাকা বা নিজ এলাকার সীমানা পার হওয়ার পর থেকে পথের মধ্যে ঢাকা বা নিজ এলাকায় পৌছা পর্যন্ত কসর করবেন।

২. আপনার নিজ এলাকার সীমানা পার হওয়ার পর থেকে শুরু হবে। উল্লেখ্য যে, আপনার এলাকার কোন বিজ্ঞ মুফতী সাহেব থেকে আপনার এলাকার সীমানা সম্পর্কে জেনে নিবেন।

৩. ঢাকা এলাকার সীমানা পার হওয়ার পর থেকে শুরু হবে।

. কোনো কোনো ট্রেনে নামাজ পড়ার স্থান আছে। সেখানে দিক ঠিক করে নামাজের সকল নির্দেশ মেনে নামাজ পড়লে দ্বিতীয়বার আর পড়া লাগবে না। আর যদি সিটে নামাজ পড়েন তাহলে আবার নামাজ পড়া লাগবে। কারণ, নামাজে দাড়ানো, রুকু, সেজদা করা আবশ্যক। আর এটা সিটে বসে হয় না।
৫. এভাবে নিয়ত করবেন যে, উক্ত নামাজের কাযা আদায় করছি।

৬. যেহেতু এ সম্পর্কে আপনার বাবা জানে। তাই তা নেওয়া বৈধ হবে ইনশাআল্লাহ।

৭. হ্যাঁ, জায়েজ হবে। তবে যেহেতু আপনি বড়। তাই মার থেকে এমন কাজ না করে নেওয়াই উত্তম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (44 points)
ওয়েট করছি আপনাদের উত্তর এর জন্য শায়েখ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 199 views
...