ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
মুসাফিরের জন্য যোহর আসর ও ইশার
ফরয নামায দুই রাকাত পড়া (কসর) ওয়াজিব;
চার রাকাত (পূর্ণ পড়া) নাজায়েয,এতে সে গুনাহগার হবে । কারণ মুসাফিরের নামাযের বিধান হল
কসর। ৭৭ কিলোমিটার থেকে বেশি দুরত্বে ১৫ দিনের চেয়ে কম সফরের নিয়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে
নিজ এলাকার সীমানা পার হওয়ার পর থেকে কসর করতে হবে।
আয়েশা রাযি. বলেন,
فُرِضَتِ الصَّلَاةُ
رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ
السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ
মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায
দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে
বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)
অপর হাদিসে এসেছে,
عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ
عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ – قَالَ – فَصَلَّى بِنَا
رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ
هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى
يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ
يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ
أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ
وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ
اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى
قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ
لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ
এর সাথে সফর করেছি, তিনি
মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর
সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও
সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি
উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আর
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ
এর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)
বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/7129/
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১. ঢাকা থেকে যদি
আপনাদের বাড়ীর দূরত্ব ৭৭ কি.মি. এর চেয়ে বেশী হয় তাহলে আপনি ঢাকার এলাকা বা নিজ এলাকার সীমানা পার হওয়ার পর থেকে পথের মধ্যে ঢাকা বা
নিজ এলাকায় পৌছা পর্যন্ত
কসর করবেন।
২. আপনার নিজ এলাকার সীমানা পার
হওয়ার পর থেকে শুরু হবে। উল্লেখ্য যে, আপনার এলাকার
কোন বিজ্ঞ মুফতী সাহেব থেকে আপনার এলাকার সীমানা সম্পর্কে জেনে নিবেন।
৩. ঢাকা এলাকার
সীমানা পার হওয়ার পর থেকে শুরু হবে।
৪.
কোনো কোনো ট্রেনে নামাজ পড়ার স্থান আছে। সেখানে দিক ঠিক করে নামাজের সকল নির্দেশ
মেনে নামাজ পড়লে দ্বিতীয়বার আর পড়া লাগবে না। আর যদি সিটে নামাজ পড়েন তাহলে আবার
নামাজ পড়া লাগবে। কারণ, নামাজে দাড়ানো, রুকু, সেজদা করা আবশ্যক। আর এটা সিটে বসে হয় না।
৫. এভাবে নিয়ত করবেন যে, উক্ত নামাজের কাযা আদায় করছি।
৬. যেহেতু এ সম্পর্কে আপনার বাবা জানে। তাই তা নেওয়া বৈধ হবে ইনশাআল্লাহ।
৭. হ্যাঁ, জায়েজ হবে। তবে যেহেতু আপনি বড়। তাই মার
থেকে এমন কাজ না করে নেওয়াই উত্তম হবে।