بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
১.নামাজের জামাতে যে ব্যক্তির শুরুতে এক বা তার অধিক রাকাত ছুটে
যায়, তাকে
‘মাসবুক’ বলা হয়। আর মাসবুক ব্যক্তি যদি অসর্তকতা বশত বা ভুলে ইমামের সাথে বা ইমাম
সালাম ফেরানোর পূর্বে সালাম ফিরিয়ে ফেলে তাহলে দেরি না করে সাথে সাথে দাঁড়িয়ে যাবে
এবং বাকি নামাজ আদায় করবে। সিজদা সাহু করতে হবে না। যদি ইমামের সালাম ফিরানোর পর দেরি
করে সালাম ফিরায় তবে সিজদা সাহু করতে হবে।
অনেক মানুষকে দেখা যায়, মাসবুক অবস্থায় যদি ইমামের সাথে দুই দিকে সালাম
ফিরিয়ে ফেলে তাহলে মনে করে যে তার নামায বাতিল হয়ে গিয়েছে। ফলে আবার নতুন করে শুরু
থেকে নামায পড়ে।
এক্ষেত্রে নিয়ম হল, দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে
ফেললেও, যদি নামায ভেঙে যায় এমন কোনো কাজ না করা হয় তাহলে উঠে
যাবে এবং বাকী রাকাত আদায় করবে। শেষে সাহু সিজদা আদায় করবে।
আর একথা তো সবারই জানা যে, মাসবুক ব্যক্তি ইমামের সাথে সালাম ফেরাবে না।
বরং ইমামের দুই দিকে সালাম ফেরানো হলে উঠে বাকী রাকাত আদায় করবে।
فى البحر الرائق- ومن احكامه- ومن أحكامه أنه لو سلم مع
الإمام ساهيا أو قبله لا يلزمه سجود السهو لأنه مقتد وإن سلم بعده لزمه وإن سلم مع
الإمام على ظن أن عليه السلام مع الإمام فهو سلام عمد فتفسد (البحر الرائق، كتاب
الصلاة، باب الحدث فى الصلاة-1/662
মাসবুক ব্যক্তি যদি ভুলে ইমামের সাথে বা আগে সালাম ফিরিয়ে ফেলে
তাহলে তার উপর নামাযের শেষাংসে সাহু সেজদা দেয়া আবশ্যক নয়। আর যদি ইমাম সালাম ফিরানোর
পর সালাম ফিরায়, তাহলে তার উপর নামাযের শেষাংসে সাহু সেজদা দেয়া ওয়াজিব। আর যদি
ইমামের সাথে সালাম ফিরায় এটা ভেবে যে, ইমামের সাথে তার সালাম
ফিরানো উচিত, তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। এ নামায পুনরায়
পড়তে হবে। (আল বাহরুর রায়েক-১/৬৬২ ,ফাতওয়ায়ে
শামী-২/৩৫০ ,ফাতওয়া আলমগীরী-১/৯১)
বিঃদ্রঃ সাধারণতঃ মাসবুক ব্যক্তিরা ইমামের পর ভুলে সালাম ফিরায়
তাই সেজদায়ে সাহু দেয়াই আবশ্যক।
২.জ্বী ইমামের অনুসরণে মাসবুক ব্যক্তিকেও সাহু সিজদা করতে হবে
যদিও ইমাম তার আসার পূর্বেই ভুল করে ফেলে।
৩.প্রত্যেক নামাজের পূর্বে ভালোভাবে পেশাব ,পায়খানা সেরে নেওয়া
উচিত যাতে নামাজে কোন সমস্যা না হয় । তথাপি যদি কারো নামাজরত অবস্থায় বায়ু,পেশাব বা পায়খানার বেগ পায় তাহলে তার জন্য করনীয় হলো, যদি প্রবল চাপ হয় ও অজু নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয় তাহলে নামাজ ছেড়ে দিয়ে জরুরত
সেরে নিবে এবং পবিত্র হয়ে নামাজ আদায় করবে।
৪.শরীয়তের বিধান হলো
কাহারো নামাজের ভিতর অযু ভেঙ্গে গেলে সে তৎক্ষণাৎ
অযুর জন্য বের হয়ে যাবে। অযু করে এসে যেখানে নামাজ রেখে গিয়েছিলো সেখান থেকে আবার
আদায় করবে।
আমর ইবনুল হারেস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নামাজরত ব্যক্তির
নাক দিয়ে রক্ত বের হলে কী করণীয় এ সম্পর্কে উমর ইবনুল খাত্তাব রাযি. বলেন,
সে অযুর জন্য বের হয়ে যাবে এবং অযু করে আসবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী
শাইবা ৫৯৫০)
এসম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/18975/?show=18975#q18975