ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/30094 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
(নাজাসতে গালিজাহ কি কি?)
সে সম্পর্কে বলা হয়,
ভাবার্থঃ-ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয়।তা হল নাজাসতে গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি(বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি(প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়)ফুঁজ,বমি যখন তা মুখভড়ে হয়,(বাহরুর রায়েক)এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার প্রস্রাব তারা আহার করুক বা না করুক।মদ,প্রবাহিত রক্ত,মৃত জানোয়ারের গোসত,ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব ও গোবর যাদের গোস্ত ভক্ষণ হারাম।গরুর গোবর,কুকুরের বিষ্টা, মোরগ এবং হাস ও পানী হাসের বিষ্ঠা। হিংস প্রাণীর বিষ্টা,বিড়ালের বিষ্টা,ইদুরের বিষ্টা।বিড়াল এবং ইদুরের প্রস্রাব যদি কাপড়ে লাগে তবে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,যদি তা এক দিরহামের বেশী হয় তবে পবিত্র।আর কিছুসংখ্যক না করেন।সাপের বিষ্টা,ও প্রস্রাব।জোকের বিষ্টা।আঠালো ও টিকটিকির রক্ত যদি তা প্রবাহিত হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)
নাজাসতে গালিজাহ কাপড় বা শরীরে লাগলে, এক দিরহাম (তথা বর্তমান সময়ের পাঁচ টাকার সিকি)পরিমাণ বা তার চেয়ে কম হলে, উক্ত কাপড়ের সাথে নামায বিশুদ্ধ হবে।যদিও তা ধৌত করা জরুরী যদি সময়-সুযোগ থাকে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্লেটের পানি নাপাক।কেননা তাতে টিকটিকির বিষ্টা ছিলো। প্লেটের পানি যদি কাপড় বা শরীরে এক দিরহাম পরিমাণ লাগে, তাহলে উক্ত কাপড় বা শরীর নাপাক বলে বিবেচিত হবে।নতুবা নাপাক বলে বিবেচিত হবে না।
আপনার পকেটে আতর ছিল, আতর নাপাক হবে না।মুবাইল ছিল, মুবাইল নাপাক হয়ে যাবে।ভিজা কাপড় দ্বারা মুছে নিলে আপনার মুবাইল পবিত্র হয়ে যাবে। আর যে সব জিনিষ থাক না কেন? যদি তাতে এক দিরহাম থেকে বেশী পরিমাণের পানি লাগে, এবং সেইসব জিনিষ ধৌত করা সম্ভব হয়, তাহলে ধৌত করতে হবে।আর ধৌত করা সম্ভব না হলে মুছতে হবে।