আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
255 views
in সাওম (Fasting) by (17 points)
edited by
আস সালামু আলাইকুম

১. পায়ুপথের ভেতরে পানি/ঔষধ প্রবেশ করালে রোযা ভেংগে যায় জানি,কিন্তু নরমাল গোসল করার সময় কোন জোড়াজোড়ি না করে শুধু শরীর ভেজানোর সময় যেখান থেকে পায়ুপথের একদম শুরু বা দেহের বাহির অংশের সাথে পায়ুপথ শুরুর যে স্থান যুক্ত,সেখানে গড়িয়ে পানি লাগলে বা সেখান থেকে যদি একেবারে অল্প পানি ভিতরে যায়(অনিচ্ছামুলক,নিজে থেকেই),তবেও কি রোযা নষ্ট হবে?

২. প্রতি রোযার সময় এ বিষয়টি নিয়ে আমি প্রচুর চিন্তিত থাকি যে আমার রোযা হচ্ছে কিনা,পায়ুপথের ভেতর বলতে  কতটুকু ভেতরে পানি গেলে এবং কতটুকু পানির ফলে রোযা ভাঙতে পারে তা আমাকে ইকটু স্পষ্ট ধারণা দিলে অনেক বড় উপকার হতো

৩. গোসলের সময় মাথা ভেজানো কালে যদি শ্বাস নিতে গিয়ে সম্পুর্ণ অনিচ্ছাকৃত ভাবে হঠাৎ এক দুই ফোটা পরিমাণ পানি মুখে ঢুকে যায় যা গলা বেয়ে নামার মতো না,আগেই মুখে শুষে যায় এবং গলায় তা কোনোরুপ অনুভুত হয় নি,এতে রোযা ভাংবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
আপনার প্রশ্নটি সম্পূর্ণই কাল্পনিক। সুতরাং আপনার প্রশ্নের জবাবে কি লিখবো, তা ভেবে পাচ্ছি না। যদি পায়ুপথ দিয়ে ভিতরে পানি পৌছার অনুভব হয়, এবং এই অনুভবটা প্রায় নিশ্চিত পর্যায়ের হয়, ভিতরে ঠান্ডা অনুভূত হয়, তাহলে এদ্বারা আপনার রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি নিচক সন্দেহ হয়, তাহলে আপনার রোযা ভঙ্গ হবে না।

(২)
সাধারণত গোসলে পায়ুপথে পানি পৌছায় না।সুতরাং সাধারণত রোযা ভঙ্গ হবে না। সেজন্য আপনাকে বলবো যে, আপনি সন্দেহকে পরিত্যাগ করুন।আল্লাহ আপনার সহায় হোক।

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)
(৩)
আপনার বর্ণিত পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনার রোযা ভঙ্গ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 94 views
...