بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُم مِّنْ إِمْلَاقٍ ۖ نَّحْنُ نَرْزُقُكُمْ وَإِيَّاهُمْ ۖ وَلَا تَقْرَبُوا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ ۖ وَلَا تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ ۚ ذَٰلِكُمْ وَصَّاكُم بِهِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
স্বীয় সন্তানদেরকে দারিদ্রের কারণে হত্যা করো না, আমি তোমাদেরকে ও তাদেরকে আহার দেই, নির্লজ্জতার কাছেও যেয়ো না, প্রকাশ্য হোক কিংবা অপ্রকাশ্য, যাকে হত্যা করা আল্লাহ হারাম করেছেন, তাকে হত্যা করো না; কিন্তু ন্যায়ভাবে। তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা বুঝ। (সূরা আনআম, আয়াত ১৫১)
■ মূলত গর্ভপাত ঘটানো হত্যাতুল্য অপরাধ। আল কোরআনে আরো ঘোষণা করা হয়েছে :
وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ خَشْيَةَ إِمْلَاقٍ ۖ نَّحْنُ نَرْزُقُهُمْ وَإِيَّاكُمْ ۚ إِنَّ قَتْلَهُمْ كَانَ خِطْئًا كَبِيرًا
দারিদ্রের ভয়ে তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমিই জীবনোপকরণ দিয়ে থাকি। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মারাত্নক অপরাধ। (সূরা বনী ইসরাঈল : আয়াত ৩১) এই আয়াতে গর্ভপাতকে মহাপাপ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
■ ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা কিতাবে রয়েছে-
ভ্রুণের বয়স ৪ মাসের কম হওয়া এবং কোনো অঙ্গ সৃষ্টি না হওয়া। এমতাবস্থায় গর্ভপাত করা মাকরূহ তানযিহী। তবে শরয়ী কোন উযর থাকলে মাকরুহ নয়। আদ্দুরুল মুখতার কিতাবে আছে-
و يكره أن تسقي لإسقاط حملها و جاز لعذر حيث لا يتصور
মর্মার্থ: গর্ভপাতের জন্য কোন কিছু পান করা মাকরুহ হবে তবে কোন অঙ্গ প্রকাশ না পেলে উযরবশত মাকরুহ নয়। (আদ্দুরুল মুখতার, ৯/৬১৫)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. ওয়ালিমা অনুষ্ঠান না হওয়া ও মানুষ কি বলবে এই ভয়ে গর্ভপাত ঘটানো জায়েজ নয়।
২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু গর্ভাবস্থার সময়কাল ১ মাসের কম। তাই এখনো বাচ্চার অঙ্গ প্রকাশ পায়নি। সুতরাং এখন গর্ভপাত ঘটানো মাকরুহ। তবে যদি কোনো অভিজ্ঞ দ্বীনদার ডাক্তার আপনার সাস্থ্য ও হিমোগ্লোবিন দেখে বলে যে, আপনার জন্য এখন বাচ্চা নেওয়া ঠিক হবে না। তাহলে মাকরুহও হবে না।