জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী কোনো মেয়েকে যখন কেহ বিবাহের প্রস্তাব পেশ করে,তাহলে সেই প্রস্তাবের কোনো ফায়সালা হওয়ার আগে অন্য কোনো মুসলিমের সেই বিবাহে প্রস্তাব পেশ করার অনুমতি নেই।
তবে সে যদি অনুমতি দেয়,তাহলে জায়েজ আছে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَخْطُبُ أَحَدُكُمْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ وَلاَ يَبِيعُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ " .
আহমাদ ইবন আমর ইবন সারাহ্ ................. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কোন ব্যক্তি যেন তার ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না দেয়। আর কেউ যেন তার ভাইয়ের ক্রয়ের সময়ে ক্রয় না করে। অবশ্য সে যদি অনুমতি দেয় তবে সেটা আলাদা ব্যাপার।
(মুসলিম ১৪১২, আবূ দাঊদ ২৯৮১, নাসায়ী ৪৫০৪, ইবনু মাজাহ ১৮৬৮, আহমাদ ৪৭২২, দারিমী ২২২২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৯৬৬, সহীহ আল জামি‘ ৭৬০০।)
★সুতরাং এই নীতিমালার আলোকে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিধান হলোঃ-
যেহেতু এখানে আপনার পরিবার যাদেরকে প্রস্তাব পেশ করেছলেন,আপনার তাদের দ্বীনদারিতা পছন্দ না হওয়ায় আপনি একজন ধার্মিক ছেলেকে আপনার বায়োডাটা পাঠিয়েছিলেন।
এক্ষেত্রে এখন আপনার পরিবার ওই ধার্মিক ছেলে কে প্রাধান্য দিয়েছে।
সুতরাং আপাতত অন্য কাউকে আর বায়োডাটা না পাঠিয়ে ফায়সালা করাই উচিত।
যদি আরো বায়োডাটা পাঠানো আপনার পরিবার চাপ দেয়,পাঠাতেই চায়,তাহলে সেই পাত্রদের অনুমতি গ্রহন করেই অন্যকে বায়োডাটা পাঠাবেন।
নতুবা তাদের ব্যাপারে না বাচক ডিসিশন নিয়েই অন্যকে বায়োডাটা পাঠাবেন।