জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো ৪৮ মাইল তথা ৭৭+ কিলোমিটার কেহ সফরের নিয়তে বের হলে যাত্রাপথে নিজ শহরের সীমানা অতিক্রম করার পর কসরের নামাজ পড়বে।
,
ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
يَا أَهْلَ مَكَّةَ ، لا تَقْصُرُوا الصَّلاةَ فِي أَدْنَى مِنْ أَرْبَعَةِ بُرُدٍ
হে মক্কাবাসী! চার বারীদের কমে কসর করবে না। (দারা কুতনী ১/৩৮৭)
ইমাম বুখারি রহ. বলেন,
وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ، وَابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، يَقْصُرَانِ، وَيُفْطِرَانِ فِي أَرْبَعَةِ بُرُدٍ وَهِيَ سِتَّةَ عَشَرَ فَرْسَخًا
ইবনে উমর রাযি এবং ইবনে আব্বাস রাযি চার বারীদ সফরের সময় কসর পড়া এবং রোযা ভাঙ্গার কথা বলেছেন। আর সেটি হল, ১৬ ফরসখ। (সহিহ বুখারি, নামায কসর করা অধ্যায়)
এক ফরসখ তিন মাইল হয়ে থাকে। সুতরাং প্রত্যেক বারীদ হয় ১২ মাইল। আর চার বারীদকে ১২ দিয়ে গুণ দিলে কিংবা ষোল ফরসখকে তিন দিয়ে গুণ দিলে হয় ৪৮ মাইল। অতএব, সফরের দূরত্ব দাঁড়াচ্ছে ৪৮ মাইল। ( কামুসুল ফিকহ ২/৩১৪ আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ১/৭৫)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির যে গ্রামে যাওয়ার জন্য বের হয়েছে,সেক্ষেত্রে সফরের দুরত্ব ৭৭+ কিলোমিটার কিনা?
যদি তার চেয়ে কম দুরত্ব হয়,তাহলে তো প্রশ্নে উল্লেখিত সকল নামাজের ক্ষেত্রেই তাকে পূর্ণ নামাজ কাজা আদায় করতে হবে।
,
আর যদি সফরের দুরত্বে (৭৭+ কিলোমিটার) হয়,তাহলে জোহরের নামাজের ওয়াক্ত যখন শেষ হয়,ওয়াক্ত শেষ হওয়ার মুহুর্তে সে শহরের (যে শহরে সে বসবাস করতো) সীমানা অতিক্রম করেছিলো কিনা?
যদি জোহরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগেই সে শহরের সীমানা অতিক্রম করে থাকে,তাহলে সে জোহরের নামাজের কাজা ২ রাকাত আদায় করবে।
,
যদি জোহরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পরে নিজ শহরের সীমানা অতিক্রম করে থাকে,তাহলে সে জোহরের কাজা চার রাকাত আদায় করবে।
,
(০২)
আছর নামাজের ক্ষেত্রেও ওয়াক্তের শেষ মুহুর্তের আগেই নিজ শহরের সীমানা অতিক্রম করেছে কিনা,দেখতে হবে।
যদি শহরের সীমানা অতিক্রম করে থাকে, তাহলে ২ রাকাত পড়বে।
অন্যথায় পূর্ণ নামাজ আদায় করবে।
,
(০৩)
ইশার সালাতের ওয়াক্তের ভিতরে সে ব্যাক্তি গ্রামে পৌছেছে।
এখন সেই গ্রামটি তার ওয়াতনে আসলি বা ওয়াতনে ইকামত কিনা?
যদি এমনই হয়,তাহলে সে সেখানে ইশা সহ পরবর্তী নামাজ গুলি পূর্ণ নামাজ আদায় করবে।
,
আর যদি সেই গ্রাম তার ওয়াতনে আসলি বা ওয়াতনে ইকামত না হয়,তাহলে সে ইশার নামাজ সহ পরবর্তী নামাজ গুলির ক্ষেত্রে কসর আদায় করবে।
ওয়াতনে আসলি এবং ওয়াতনে ইকামত সম্পর্কে জানুনঃ