জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সন্তানের লালন পালন সংক্রান্ত মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ الۡوَالِدٰتُ یُرۡضِعۡنَ اَوۡلَادَہُنَّ حَوۡلَیۡنِ کَامِلَیۡنِ لِمَنۡ اَرَادَ اَنۡ یُّتِمَّ الرَّضَاعَۃَ ؕ وَ عَلَی الۡمَوۡلُوۡدِ لَہٗ رِزۡقُہُنَّ وَ کِسۡوَتُہُنَّ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ؕ لَا تُکَلَّفُ نَفۡسٌ اِلَّا وُسۡعَہَا ۚ لَا تُضَآرَّ وَالِدَۃٌۢ بِوَلَدِہَا وَ لَا مَوۡلُوۡدٌ لَّہٗ بِوَلَدِہٖ ٭ وَ عَلَی الۡوَارِثِ مِثۡلُ ذٰلِکَ ۚ فَاِنۡ اَرَادَا فِصَالًا عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡہُمَا وَ تَشَاوُرٍ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡہِمَا ؕ وَ اِنۡ اَرَدۡتُّمۡ اَنۡ تَسۡتَرۡضِعُوۡۤا اَوۡلَادَکُمۡ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ اِذَا سَلَّمۡتُمۡ مَّاۤ اٰتَیۡتُمۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۲۳۳﴾
আর জননীগণ তাদের সস্তানদেরকে পূর্ণ দু’বছর স্তন্য পান করাবে এটা সে ব্যক্তির জন্য, যে স্তন্যপান কাল পূর্ণ করতে চায়। পিতার কর্তব্য যথাবিধি তাদের (মাতাদের) ভরণ-পোষণ করা। কাউকেও তার সাধ্যাতীত কাজের ভার দেয়া হয় না। কোন মাতাকে তার সন্তানের জন্য এবং যার সন্তান (পিতা) তাকেও তার সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। আর উত্তরাধিকারীরও অনুরূপ কর্তব্য। কিন্তু যদি তারা পরস্পরে সম্মতি ও পরামর্শক্রমে স্তন্যপান বন্ধ রাখতে চায়, তবে তাদের কারো কোন অপরাধ নেই। আর যদি তোমরা (কোন ধাত্রী দ্বারা) তোমাদের সন্তানদেরকে স্তন্য পান করাতে চাও, তাহলে যদি তোমরা প্রচলিত বিধি মোতাবেক বিনিময় দিয়ে দাও তবে তোমাদের কোন পাপ নেই। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং জেনে রাখ, তোমরা যা কর নিশ্চয় আল্লাহ তা প্রত্যক্ষকারী।
(সুরা বাকারা ২৩৩)
★সুতরাং সন্তানের মাতাকে সন্তানের জন্য ক্ষতিতে ফেলা যাবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «الْمَرْأَةُ إِذَا صَلَّتْ خَمْسَهَا وَصَامَتْ شَهْرَهَا وَأَحْصَنَتْ فَرْجَهَا وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا فَلْتَدْخُلْ مِنْ أَىِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ».
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করে, রমাযানের সিয়াম পালন করে, গুপ্তাঙ্গের হিফাযাত করে, স্বামীর একান্ত অনুগত হয়। তার জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশের সুযোগ থাকবে।
(মিশকাত ৩২৫৪)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সহীহ শুদ্ধভাবে নামাজ আদায়,দ্বীনের প্রয়োজনীয় আহকাম মেনে চলা,অনেক প্রয়োজনীয় ইলম শিখানোর জন্য আলিম কোর্স।
যাতে সেই অনুযায়ী আমল করে আমরা জান্নাতে যাওয়ার পথকে সুগম করতে পারি।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই কোর্সটি করতে গিয়ে আপনাকে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
নিজ কন্যার যত্ন নিতে না পারা,তাকে অন্যের কাছে রাখার দরুন তার গুনাহের দিকে ধাপিত হয়ে যাওয়া,শারীরিক ভাবে অনেক অসুস্থ থাকা,সংসারের কাজে বিঘ্নতা সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি।
,
আপনি যদি এই ছুরত অনুযায়ী চলেন যে ক্লাস গুলোতে নিয়মিত থাকতে না পারলেও পরে দিনের অবসর টাইমে সময় সুযোগ মোতাবেক সে ক্লাস দেখে অল্প কিছু সময় দেওয়া,তাহলে আপনাদ জন্য কোর্সটি কন্টিনিউ করাই উচিত।
,
তবে কোনো ভাবেই যদি আপনি উক্ত কোর্স চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ বের করতে না পারেন,আপনার যদি দিনে/সপ্তাহে কোনো অবসর টাইমই না থাকে,তাহলে আপনি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ করে সাময়ীক বন্ধ বা যেকোনো একটি সমাধানে আসতে পারেন।