আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
329 views
in সালাত(Prayer) by (61 points)
edited by
আমার সলাতে তেলাওয়াতে ভুল গেছে এমন খুব ওয়াসওসা সৃষ্টি হয় । তাই আমি কি সুন্নত নফল এবং বেতর নামাজে তিলাওয়াতের সময়, ( ফজরের ফরজ নামাজের মত অর্থাৎ তাকবীর এবং কেরাত জোরে পড়ব এবং বাকি সবকিছু আস্তে পড়ব.... এভাবে পড়তে পারি?
by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম। 
আমি একটা কমেন্ট  করেছি,একটু কষ্ট করে,দয়া করে দেখবেন সম্মানিত,শ্রদ্ধেয় মুফতি  ওলি উল্লাহ  সাহেব। 

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)

★★শরীয়তের বিধান হলো রাতের নামাজ (ফজর,মাগরীব,ঈশার নামাজ) গুলিতে  একাকী নামাজ আদায় কারী ব্যাক্তির ইচ্ছা রয়েছে।
সে চাইলে জোড়েও কিরাআত পড়তে পারে,চাইলে আস্তেও কিরাআত পড়তে পারে। 
,
আর দিনের নামাজ গুলি যেমন জোহর আছরের নামাজে আস্তে কিরাআত পাঠ করা সুন্নাত।
,
সুন্নাত গুলির ক্ষেত্রেও একই বিধান আরোপ হবে।
তাই সেই হিসেবে বিতর নামাজ,মাগরীব, ইশা,ফজরের নামাজের সুন্নাত নামাজে জোড়ে আওয়াজে কিরাআত পড়তে পারেন।
কোনো সমস্যা নেই।
,
তবে জোহর ও আছরের নামাজের সুন্নাতে জোড়ে কিরাআত পড়া যাবেনা।
তবে সকল নামাজের (৫ ওয়াক্ত নামাজের) সুন্নাত,নফল নামাজে তাকবীর জোড়ে আওয়াজে পড়তে পারবে। 

فتح القدير للكمال ابن الهمام (1/ 327):
"وفي التطوع بالنهار يخافت، وفي الليل يتخير اعتباراً بالفرض في حق المنفرد، وهذا لأنه مكمل له فيكون تبعاً".
সারমর্মঃ
দিনের নফল গুলোতে আস্তে কিরাআত করবে।
রাতের নফলগুলোতে ফরজ নামাজ একাকী নামাজ আদায় কারীর ন্যায় হবে।
তার ইচ্ছা থাকবেনা। 

فتح القدير للكمال ابن الهمام (1/ 327):
"(قوله: اعتباراً بالفرض في حق المنفرد) هو المفيد لتعين المخافتة على المنفرد في الظهر والعصر، وإلا فقد كان قوله: ويخفيها الإمام في الظهر والعصر يعطي أنه لايتحتم على المنفرد كما قال عصام، واستدل عليه بأنه لايجب السهو بالجهر فيهما على المنفرد، والصحيح تعين المخافتة".
সারমর্মঃ
একাকী নামাজ আদায় কারীর উপরে জোহর ও আছরের নামাজে কিরাআত আস্তে পড়ার বিধান।
এখানে সুন্নাত নফল গুলি ফরজের উপর রেখে গ্রহনযোগ্য হবে।

مراقي الفلاح شرح نور الإيضاح (ص: 95):
 "و" يجب "الإسرار" ..... في "نفل النهار" للمواظبة على ذلك
সারমর্মঃ
 দিনের নফলগুলোতে আস্তে কিরাআত পাঠ করে নামাজ পড়া ওয়াজন।
কেননা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর উপরেই সর্বদায় ছিলেন।    
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জোড়ে তাকবির বলাতে কোনো সমস্যা হয়নি।
জোরে কিরাআত করে নামাজ পড়াতে সমস্যা হয়নি।
তবে জোহর আর আছরের নামাজের সুন্নাতের ক্ষেত্রে এমনটি হলে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
অন্যান্য নামাজের সুন্নাত বা নফলের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...