জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا ؕ.
আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। -সূরা বাকারা (২) : ২৭৫
অপর এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَ ذَرُوْا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ فَاِنْ لَّمْ تَفْعَلُوْا فَاْذَنُوْا بِحَرْبٍ مِّنَ اللهِ وَ رَسُوْلِهٖ.
হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যা কিছু অবশিষ্ট আছে তা পরিত্যাগ করো। যদি তোমরা মুমিন হও। যদি তা না কর তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের সংবাদ জেনে নাও। -সূরা বাকারা : ২৭৮-২৭৯
হারাম সম্পদের ক্ষেত্রে বিধান হলোঃ-
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34،
الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37)
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
হ্যাঁ, আপনার বাবা আপনাকে যেই খরচ দেন,সেই টাকা থেকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া আপনি যে দান করেন সেটি শরীয়তে গ্রহণযোগ্য।
,
(০২)
আপনি বিশেষ ওযর বশত এমনটি করছেন,ইস্তেগফার চালিয়ে যাচ্ছেন,এবং সেই পরিমান টাকা সদকাহও করছেন,তাই আপনাত ইবাদত কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ।
,
(০৩)
আপনি বিষয়টি নিজ ভাষায় মহান আল্লাহর কাছে বলবেন,বিষয়টি সমাধানের জন্য চাইবেন।
নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা দ্রুত কোনো সমাধান দান করবেন।
,
(০৪)
অনলাইনে বিভিন্ন পেইজ/প্রতিষ্ঠান গরীব ও বিপদগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য সাদাকাহ কালেক্ট করে থাকে,তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে,তাদেরকে সদাকাহ করা ঠিক হবেনা।
এক্ষেত্রে তারা গরিব মিসকিনকে দিচ্ছে কিনা,সেটি যাচাই করে তাদের দিতে পারেন।
,
হ্যাঁ উক্ত অভাবগ্রস্থ প্রেগন্যান্ট মহিলার উপর যদি যাকাত ফরজ না হয়ে থাকে,যদি গরিব হয়,তাহলে যেহেতু সে সদাকাহ গ্রহনের উপযুক্ত, তাই তাকে আপনি সদাকাহ করতে পারেন।
,
(০৫)
সাবান শ্যাম্পু ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অনুরূপ বিধান।
এই পরিমান টাকা পরবর্তীতে সদকাহ করে দিবেন।