আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (100 points)
closed by
আমার গত প্রশ্নের উত্তরে আপনি বলেছিলেন যে কিন্তু নিজ অভিভাবকের টাকায় হালাল খাবার খাবেন।যাজাকাল্লাহু খইরন।

আমি হলে চলে যাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি,কিন্তু ঐ আত্মীয়ের বাসায় আমার পোশাক বইখাতা ও অন্যান্য সরঞ্জাম রয়ে গেছে। আমার হল থেকে ঐ আত্মীয়ের বাসার দূরত্ব ২০ কি.মি। যেহেতু আমাকে একদিন ঐখানে যেতেই হবে এবং তারউপর আমি একজন মেয়ে,আমাকে গিয়েই না খেয়ে বা না থেকে চলে আসতে দিবে না।

আমি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার ভয় পাচ্ছি,যদি আমি বলি খালুর হারাম ইনকামের কারণে আমি খেতে পারব না তাহলে পরিস্থিতি প্রতিকূল হয়ে যাবে বিভিন্ন কারণে।
যদি এমন হয় যে আমার আম্মু আমার খালাকে আগে থেকে কিছু টাকা দিয়ে দিল বা পরে দিয়ে দিলো আমার জন্য খরচ হিসেবে যেটা গিয়ে আমি খালাকে দিলাম, আর যেহেতু এভাবে আমার খাওয়ার জন্য যে খরচটা হওয়ার কথা সেটা তাদের দিয়েই দিলাম,তখন কি আমার ঐখানে খাওয়াটা হালাল হবে? এখন আমি যেই টাকা দিব সেই টাকা থেকে যে ঐদিব বাজার করবেই তার কোনো নিশ্চয়তা নেই
যেহেতু আমি মেয়ে,আমার পক্ষে  নিজে থেকে ঐদিনের বা ঐবেলার খাবার যোগাড় বা বাজার করা সম্ভব না।

যদি আমি যে ব্যবস্থার কথা বলছি সেটা সম্ভব না ও হয়,এমন কি কোনো পথ আছে যার মাধ্যে আমি ঐ এক বেলা বা ঐ একদিন অন্তত হারাম খাওয়া থেকে বাঁচতে পারব?
closed

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি যেই পরিমান টাকার খাবার খাবেন,সেই পরিমান টাকা আপনার আম্মু আপনার খালাকে খরচ হিসেবে দিয়ে দিলে আপনার জন্য সেই বাসায় খাবার খাওয়া জায়েজ হবে।

তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হলো এই যে, আপনি সেখানে কম খাবেন,বেশি খাবেননা।
যেই পরিমাণ খাবার আপনি সেখান থেকে  খাবেন,সমপরিমাণ টাকা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দিবেন।  

 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء 
معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، 
الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37)
 যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪) 


وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا ؕ.
আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। -সূরা বাকারা (২) : ২৭৫

অপর এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَ ذَرُوْا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ فَاِنْ لَّمْ تَفْعَلُوْا فَاْذَنُوْا بِحَرْبٍ مِّنَ اللهِ وَ رَسُوْلِهٖ.

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যা কিছু অবশিষ্ট আছে তা পরিত্যাগ করো। যদি তোমরা মুমিন হও। যদি তা না কর তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের সংবাদ জেনে নাও। -সূরা বাকারা : ২৭৮-২৭৯

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...