আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
380 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (106 points)
closed by
আমার গত প্রশ্নটি ছিল যে আমি ঢাকায় পড়াশোনার জন্য খালার বাসায় থাকি,খালু ব্যাংক জব করেন। হলে সীট পেলে চলে ভার্সিটির হলে চলে যাব ইন শা আল্লাহ।আমার জন্য  এখানে খাওয়াটা জায়েজ হবে কিনা।

 আপনারা উত্তর দিয়েছেন যে খাওয়া জায়েজ হবেনা।সীট পাওয়া পর্যন্ত খেলে অল্প খাবে,প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছুই করবেনা, আর যেই পরিমাণ হারাম খাবেন,সেই পরিমান খাবারের টাকা পরবর্তীতে সামর্থবান হওয়ার পর ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিতে হবে।

জাযাকুমুল্লাহু খইরন।
এখন আমার প্রশ্ন হলো-

১।আমি মেয়ে,ভবিষ্যতে শরীয়তের সীমারেখার মধ্যে চাকরির পরিবেশ না পাওয়া পর্যন্ত ইনকাম করা হবে না,

এখন আমার ভরণপোষণের দায়িত্ব আমার বাবার উপর,

আমি খালুর বাসায় খাচ্ছি যথাসম্ভব অল্প পরিমাণ আর লিখে রাখছি কোন বেলা কী কী খাচ্ছি,

আমি যা যা খাচ্ছি সেটার আনুমানিক খরচ টা আমি যদি আমার বাবা আমার ভরণপোষণের জন্য যে টাকা দেয় ঐ টাকা থেকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করি সেটা কি গ্রহণযোগ্য?
যেহেতু আমার ইনকামের নিশ্চয়তা নেই।

২। আমি যতদিন এমন হারাম খাচ্ছি,আমার নামায ও অন্যান্য  ইবাদাত এবং দু'আ কি কবুল হচ্ছে না?

৩। আমি যতদিন হারাম খেতে হচ্ছে আমি ইস্তেগফার করতে থাকব? আর কী কী করতে পারি যেন হারামের প্রভাব কাটাতে পারি ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে পারি?


৪। অনলাইনে বিভিন্ন পেইজ/প্রতিষ্ঠান গরীব ও বিপদগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য সাদাকাহ কালেক্ট করে, আবার আমার চেনাজানা একজন প্রেগ্নেন্ট বোনের জন্য এখন সাদাখ নেওয়া হচ্ছে তার স্বামীর চাকরি হারিয়ে সে এখন অভাবগ্রস্ত। এভাবে অনলাইনে বিভিন্ন জায়গায় আমি কি সওয়াবের নিয়ত বাদে টাকাগুলো দান করতে পারি?  কারণ আমার পক্ষে বাইরে সাদাকাহ সম্ভব না


৫। এখানে শুধু খাওয়া টা হারাম হচ্ছে নাকি সাবান শ্যাম্পু ইত্যাদি ব্যবহার কথাটাও জায়েজ হবে না?
closed

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম



মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا ؕ.
আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। -সূরা বাকারা (২) : ২৭৫

অপর এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَ ذَرُوْا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ فَاِنْ لَّمْ تَفْعَلُوْا فَاْذَنُوْا بِحَرْبٍ مِّنَ اللهِ وَ رَسُوْلِهٖ.

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যা কিছু অবশিষ্ট আছে তা পরিত্যাগ করো। যদি তোমরা মুমিন হও। যদি তা না কর তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের সংবাদ জেনে নাও। -সূরা বাকারা : ২৭৮-২৭৯

হারাম সম্পদের ক্ষেত্রে বিধান হলোঃ-

 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء 
معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، 
الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37)
 যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪) 

আরো জানুনঃ 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 

(০১)
হ্যাঁ, আপনার বাবা আপনাকে যেই খরচ দেন,সেই টাকা থেকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া আপনি যে দান করেন সেটি শরীয়তে গ্রহণযোগ্য।
,
(০২)
আপনি বিশেষ ওযর বশত এমনটি করছেন,ইস্তেগফার চালিয়ে যাচ্ছেন,এবং সেই পরিমান টাকা সদকাহও করছেন,তাই আপনাত ইবাদত কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ। 
,
(০৩)
আপনি বিষয়টি নিজ ভাষায় মহান আল্লাহর কাছে বলবেন,বিষয়টি সমাধানের জন্য চাইবেন।
নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা দ্রুত কোনো সমাধান দান করবেন।
,
(০৪)
অনলাইনে বিভিন্ন পেইজ/প্রতিষ্ঠান গরীব ও বিপদগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য সাদাকাহ কালেক্ট করে থাকে,তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে,তাদেরকে সদাকাহ করা ঠিক হবেনা।
এক্ষেত্রে তারা গরিব মিসকিনকে দিচ্ছে কিনা,সেটি যাচাই করে তাদের দিতে পারেন।
,
হ্যাঁ উক্ত অভাবগ্রস্থ প্রেগন্যান্ট মহিলার উপর যদি যাকাত ফরজ না হয়ে থাকে,যদি গরিব হয়,তাহলে  যেহেতু সে সদাকাহ গ্রহনের উপযুক্ত, তাই তাকে আপনি সদাকাহ করতে পারেন।
,
(০৫)
সাবান শ্যাম্পু ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অনুরূপ বিধান।
এই পরিমান টাকা পরবর্তীতে সদকাহ করে দিবেন।     
  
       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (106 points)
reshown by
–1
যাকাত ফরজ হয়ে থাকলে সাদাকাহ দেওয়া যাবে না কেন?
by (106 points)
যাকাত ফরজ হয়ে থাকলে সাদাকাহ দেওয়া যাবে না কেন? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...