উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
,
যে সকল কারণে সাহু সিজদা দিতে হয় তাহলো,
★নামাজের মধ্যে কোন ফরজ বা ওয়াজিব আদায়ে বিলম্ব হলে।
★কোন ফরজ দুইবার আদায় হলে।
(ফরজ মোট ৬ টি, তাকবিরে তাহরিমা, দাড়িয়ে নামাজ পড়া,কিরাআত পড়া রুকু করা ,সেজদা করা আখেরী বৈঠক করা)
★নামাজের মধ্যে কোন ফরজ আগ-পর করে ফেললে।
★কোন একটি বা কয়েকটি ওয়াজিব বাদ পড়লে। (ওয়াজিব ১৪ টি, বিস্তারিত আলোচনা নিম্নে আছে)
★কোন ওয়াজিব পরিবর্তন করলে। (নাজমুল ফাতাওয়া ২/৪৫৪)
সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয় ৬ কারণে। যথা-
১) কোন রুকন আগে করে ফেলা।
২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা।
৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা।
৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া।
৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া।
৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া
أنه يجب بستة أشياء: بتقديم ركن، وبتأخير ركن، وتكرار ركن، وبتغيير واجب، وبترك واجب، وبترك سنّة تضاف إلى جميع الصلاة (المحيط البرهانى، كتاب الصلاة، الفصل السابع فى سجود السهو-1/501)
মর্থার্থ: ছয় কারণে সেজাদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়। যথা: ১) কোন রুকন আগে করে ফেলা, ২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা। ৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা। ৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া। ৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া। ৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া
وفى منية المصلى: يجب بستة اشياء بتقديم ركن….. بتأخير ركن…. بتكرار الركن…. بتغيير الواجب….. بترك الواجب…. بترك لسنة المضافة على جميع الصلاة نحو ان يترك قراءت التشهد فى القعدة الاولى (منية المصلى مع غنية المستملى-456-457)
মর্থার্থ: ছয় কারণে সেজাদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়। যথা: ১) কোন রুকন আগে করে ফেলা, ২) কোন রুকনকে আপন সময় বা স্থান থেকে দেরী করে ফেলা। ৩) কোন রুকনকে তাকরার তথা বারংবার আদায় করা। ৪) কোন ওয়াজিবকে পরিবর্তন করে ফেলা। যেমন জোরে পড়া বিষয়কে আস্তে পড়া। ৫) কোন ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া। ৬) এমন কোন সুন্নতকে ছেড়ে দেয়া যা পুরো নামাযের দিকে সম্বোধিত। যেমন প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ ছেড়ে দেয়া।
★নামাজে ওয়াজিব ১৪ টি
১. সুরা ফাতিহা পাঠ করা।
২. ফরয বিতর ও নফল নামাজের সব রাকাতে একটি সূরা অথবা একটি বড় আয়াত কিংবা তিনটি ছোট আয়াত মিলিয়ে পড়া।
৩. ক্বেরাতের জন্য প্রথম দু’রাকাতকে নিদিষ্ট করা।
৪. সিজদার মধ্যে তারতীব বজায় রাখা।
৫.প্রতিটি রোকন ধীরস্থিরভাবে আদায় করা।
৬. কওমা-তথা রুকুর পর সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
৭. উভয় সেজদার মাঝে বসা। ফতুয়ায়ে কাজীখানে বলা হয়েছে যে, যদি নামাজি ব্যক্তি রুকু থেকে সরাসরি সেজদায় চলে যায় এবং মাঝে সোজা হয়ে না দাঁড়ায়, তাহলে তার নামাজ ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম মুহাম্মদ রাজি. এর মতে সহীহ হয়ে যাবে এবং সাহু সেজদা ওয়াজিব হবে।
৮. প্রথম বৈঠক (দুই রাকাতের পরে বসা।
৯. প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পাঠ করা।
১০. রুকনগুলো ধারাবাহিক ভাবে আদায় করা সুতরাং কেউ যদি(এক রাকাতে) দুই রুকু কিংবা তিন সেজদা করে অথবা প্রথম আত্তাহিয়াতু পড়া।
১১. ইমামের জন্য ফজর,মাগরিব,ঈশা,জুম’আ এবং উভয় ঈদের নামাজে উচ্চস্বরে এবং জোহর আছর ও দিনের নফল নামাজে অনুচ্চস্বরে ক্বেরাত পড়া।
১২. সালাম শব্দ দ্বারা নামাজ থেকে বের হওয়া।
১৩. বিতির নামাযে দুয়ায়ে কুনুত পাঠ করা।
১৪. উভয় ঈদে অতিরিক্ত তাকবিরসমূহ বলা।
,কোনো একটি ওয়াজিব বা একাধিক ওয়াজিব বাদ পড়লে সেজদায়ে সাহু আদায় করতে হবে।
উল্লেখ্য যে জুমআ,ঈদ এর নামাজে যেহেতু অনেক মুছল্লি উপস্থিত হয়,তাই সেখানে সেজদায়ে সাহু আদায় করতে হবেনা।