আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
219 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (108 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ,
শাইখ,আমার প্রশ্ন টি হল এক বাবা তার মেয়েকে প্রাইভেট মেডিকেলে পড়াতে চায়। কিন্তু তার যথেষ্ট টাকা না থাকায় তার ধার কর্জ করা লাগতে পারে।মেয়ে পর্দানশীল একজন মুসলিম নারী সে এভাবে অবৈধ পয়সায় পড়তে চায় না। সে তার বাবাকে জিজ্ঞেস করায় বাবা বলে, টাকা ধার করে নয় বরং ব্যাংকে কিছু টাকা জমা আছে এবং কিছু টাকা দোকানের আসবাবপত্র ও শেয়ার বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে খরচ চালাবে।কিন্তু সেই আসবাবপত্র কেনার টাকা এবং শেয়ারের টাকা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে করা ছিল যা সুদ মিশ্রিত।এখন এই টাকায় মেয়েকে মেডিকেলে পড়াতে চাইলে তা জায়েজ হবে কি? সেই মেয়ের জন্য পড়া জায়িজ হবে কি

1 Answer

0 votes
by (59,730 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

 সুদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন -

واحل الله البيع و حرم الربوا.

আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন৷" (সূরা বাকারাআয়াত:২৭৫)

 

 সুদ কতখানি জঘন্য তা হাদীস শরীফে এসেছে-

عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : "الربا سبعون حوبا،أيسرها أن ينكح الرجل أمه."

حكم الحديث: صحيح

"হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত৷ তিনি বলেনরাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- "সুদের ৭০ টি স্তর রয়েছে৷ সবচেয়ে নিম্নটি হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা৷" (ইবনে মাজাহ: অধ্যায়: ব্যবসা-সুদ:২২৭৪)

 

 হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ آكِلَ الرِّبَا، وَمُؤكِلَهُ، وَشَاهِدَيْهِ، وَكَاتِبَهُ.

যে সুদ খায়যে সুদ খাওয়ায়যে সাক্ষী থাকে এবং যে ব্যক্তি সুদের হিসাব-নিকাশ বা সুদের চুক্তিপত্র ইত্যাদি লিখে দেয় সকলের প্রতি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা‘নত করেছেন। -মুসনাদে আহমাদহাদীস ৬৬০সুনানে আবু দাউদহাদীস ৩৩৩৩জামে তিরমিযীহাদীস ১২০৬

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


ব্যাংক থেকে সুদ ভিত্তিক লোন নেওয়া জায়েজ নয়। তবে যেহেতু ঐ বাবা লোন নিয়ে পরিশোধ করে দিয়েছে। মূলত এই বাবা সুদ দিয়েছে । যদিও এটাও নাজায়েজ। তবে এখন এই টাকা দিয়ে তার মেয়ের জন্য মেডিকেল পড়া যাবে। কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 145 views
0 votes
1 answer 161 views
...