নোট:-পূর্বে আপনাদের থেকে এবং দুইজন মুফতি সাহেব থেকে ফতুয়া নেওয়া হইছে বলছে খালওয়াত হয় নি।
শেষ বার মনের শান্তির জন্য করতেছি ।আর করবো না দয়া করে বিরক্ত হবেন না ।
***জনাব মুফতি সাহেব আসসালামুআলাইকুম ।
কিছুদিন পূর্বে আমি আমার স্ত্রী কে তালাক দিলাম এই ভাবে দিলাম যে তালাক তালাক তালাক। পূর্বে ফতুয়া নেওয়া হইছে খালওয়াত হয় নি ।
প্রশ্ন হচ্ছে :-
যদি কোন স্বামী স্ত্রী সহবাস না করে নিম্নোক্ত কর্মকান্ড গুলো করে তাহলে কি তার খালওয়াতে সহীহ হবে ? আর তালাকের বিধান কি হবে ? আমরা কি ইসলামী শরীহায় দৃষ্টিতে বিয়ে করতে পারবো নিসংকোচে ?
১। আমরা মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে যেতাম ।বর্নানা:-রেস্টুরেন্ট এর উপর চারদিকেই মানুষ ছিল ।আমি যেখানে বসছি সেখানেও কোন দরজা ছিল না উপরে ও কিছু ছিল না শুধু সামনে একটা কার্পেট ছিল যার ফলে বসলে কাউকে দেখা যায় না । আর আমাদের পাশে টেবিল ছিলো ওখানে ও মাঝে মাঝে অনেক এ বসতো আবার থাকতো না ।এমন আর কি । কিন্তু কেউ হাটলেই তাকে দেখা যায় । আমাদের কাছে ও যিনি খাবার সার্ভ করেন তিনি আসতেন কিছুক্ষন পর পর । আমি রেস্টুরেন্টে আমার স্ত্রীকে স্পর্শ করছি ।আমার স্ত্রী এর যৌনি এর সাথে আমার পুরুষাঙ্গ স্পর্শ হয়েছে এবং হালকা বীর্যপাত ওর যৌনির উপর পরছে ।এই স্পর্শ করার মাঝে ও যিনি খাবার সার্ভ করতেন আসতেন ।এমতাবস্থায় সহবাস চাইলেও সম্ভব না কারন সহবাস প্রতিবন্ধক ছিলো । খাবার পরিবেশন লোক কিছুক্ষন পর পর এই আসে ।
২.আমরা একটা পার্কে হলরুমের মত জায়গায় ছিলাম । সকালে যেতাম তখন পার্কে মানুষ থাকতো না আবার থাকতো আবার কিছু সময় পর মানুষ প্রবেশ করতো । যেহেতু পার্ক যে কোন সময় মানুষ প্রবেশ করবে আসবে যাবে এটাই স্বাভাবিক । আবার ওনাদের কর্মচারীরাও থাকতো আসতো যেতো । পার্কে একটা হলরুম ছিলো ।হলরুম টা ছিলো খোলা মেলা । কোনো অন্ধকার ছিলো না এখানে । হলরুমের চারপাশেই জানালা ছিল ।কোনো না কোনো জানালা খোলো থাকতো ।দরজা সব সময় খোলা থাকতো যেকেউএখানে প্রবেশ করার সুযোগ ছিল সকালেযাওয়াতেপার্কেমানুষছিলোনা টিকেট কাটার লোক ব্যতিত ।টিকেট কাউন্টার বলতে টিকেটের লোকটারে বুঝাইছি ।ওদের নির্দিষ্টি কোন টিকেট কাউন্টার নাই । অনেক সময় পার্কের ভিতর থেকেও টাকা নেয় । আবার পার্কের সামনে চেয়ারে বসে । টিকেট কাউন্টার নাই বিধায় ওই লোকটা পার্কের চারপাশে দেখে এবং খেয়াল রাখে । মানুষ না থাকায় হলরুমে গিয়ে একে অপরকে স্পর্শ করছি ।সহবাস ব্যতিত সব হইছে ।কিন্তু ভয় কাজ করতো কে কখন এসে পরে এবং আমাদের কে দেখে ফেলে । আর টিকেট কাউন্টার এর ওই লোকটা মানুষ কম থাকলে প্রায় সময় হাটাহাটি করে এবং দেখে কোন খারাপ কিছু কেউ করছে কিনা ।মাঝে মাঝে আবার হাটে না । কিন্তু আমাদের ভয় ছিলো যেহেতু পার্ক যে কেউ প্রবেশ করবে যে কোন সময় আর টিকেট কাউন্টার এর লোক কখন আসে বলা যায় না ।।আর উনি খেয়াল করেন এই গুলো ।যেহেতু উনি এই গুলো খেয়াল করে । টিকেট কাউন্টার অনেক সময় আমাদের দেখছেনও ।উনার চলাফেরা থাকতো চারপাশে । আর খেয়াল করতো এই গুলো ।
সুতরাং বলা যায় সহবাস প্রতিবন্ধকতা আছে ।
একজন মুফতি সাহেবকে জানালে উনি বলে খালওয়াত হবে না কেননা যে কেউ প্রবেশ এর সুযোগ আছে দরজা খোলা আর যেহেতু পার্ক কে কখন আসবে বলা যায় না এখন নাই কিন্তু যে কেউ এখানে আসতে পারবে সুযোগ ছিল ।
৩।আর এক দিন সকালে পার্কে গেছি আর একজন লোক টিকেট কাটতে আসছে আমাদের ।তখন আমরা টাকা দেই ওনাকে কিন্তু ওনার কাছে ভাংতি না থাকায় উনি সামনে গিয়ে দোকান থেকে টাকা ভাঙ্গিয়ে আনতে গেছে তখন আমি আর আমার স্ত্রী ছাড়া আর কেউ ছিলাম না সম্ভবত পার্কে । তখন হলরুমে গিয়ে হালকা স্পর্শ করেই চলে আসছি আর ভয় কাজ করছে উনি কখন এসে আমাদের কে দেখে ফেলে ।পরে উনি এসে টাকা দিছে আমাদের । যেহেতু দরজা , জানালা সবই খুলা ।দূর থেকে কেউ আসলেও দেখতে পারবে আমাদের ।আর যেহেতু পার্ক যে কেউ যে কোন সময় এখানে প্রবেশ করতে পারবে আর ওই লোক টা যে কোন সময় আসবে কেননা উনি আমাকে বাকি টাকা দিতে আসবে । সুতরাং সহবাস প্রতিবন্ধকতা আছে ।
মুফতি সাহেব কে জানালে ,উনি বললো দরজা যেহেতু খোলা থাকলে খালওয়াত হবে না আর উনি সহ যে কেউ এখানে আসতে পারবে ।।যেহেতু পার্ক যে কেউ প্রবেশ করবে ।আর জানালা ও খোলা দূর থেকে ও যে কেউ আসলে দেখবে ।দরজা যেহেতু খোলা যে কেউ প্রবেশ এর সুযোগ ছিল এখানে । খালওয়াত হবে না ।
৪। আর একদিন টিকেট কেটে আমরা যাদুঘরে প্রবেশ করে প্রর্দশনী দেখতে লাগলাম । সি সি ক্যামরা ছিল । আমরা কি একা দেখতে লাগলাম নাকি পাশে মানুষ ও আমাদের সাথে দেখতে লাগলো বলতে পারছি না ।তবে আমার মতে ছিলো আমাদের পাশে মানুষ যত টুকু মনে পরে আমার ।
মুফতি সাহেবকে জানালে বলে সমস্যা নাই কারন যে কেউ যখন তখন টিকেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করবে । খালওয়াত হবে না ।প্রতিবন্ধকতা আছে ।
৫। এক দিন কলেজ ক্যাম্পাসের সিড়িতেও একে অপরকে স্পর্শ করেছি । কলেজ অফ চিলো আমরা জানতাম না । তাই সিড়িঁ দিয়ে উঠার সময় হালকা স্পর্শ করছি । কিন্তু যে কেউ আসবে ভেবে তাড়াতাড়ি নেমে গেছি ।যখন নামছি তখন দেখি কেরানী আসতেছে আমাদের পথে গেছে । আর কাম্প্যাস যেহেতু খোলা তার মানে যে কেউ এই সিড়িঁ দিয়ে আসবে যাবে ।মানে সহবাস এর জন্য প্রতিবন্ধকতা আছে ।
৬।এক দিন হাসপাতালে আমার স্ত্রী র আম্মুকে রক্ত দিতে গেছিলাম । ওই খানে উপস্থিত ছিলো নানা মামি আর একজন লোক আর একটা ছোট মেয়ে ।ওনারা কিন্তু জানে না আমরা যে বিয়ে করছি জানে বন্ধু ।ওনারা দুইটা বেড নিছে একটা রোগির জন্য আর একটা ওনারা ঘুমানোর জন্য । একটা সিট ছিলো আর একটা ছিলো উপরে । আমি আর আমার স্ত্রী উপরে গেলাম প্রেশ হতে তখনে উপরের তলায় একজন মহিলা দাড়িঁয়ে ছিলো ওনার বাচ্চা নিয়ে নার্স আসবে দেখতে এমন মনে হয় । । আর যেহেতু হাসপাতাল মানুষ এর চলাফেরা থাকবে ।আমার স্ত্রী এর সাথে কথা হয়ছিল তখন ওনার । তো আমি আর আমার স্ত্রী রুমে প্রবেশ করছিলাম এবং দরজা হালকা খোলা রাখছিলাম কারন কে কখন আসে এখানে নানা মামি যদি এসে যায় এজন্য হালকা স্পর্শ করেই বের হয়ে গেছি ।দরজা কিন্তু খোলা ছিল ।কেননা কেউ যদি এসে ফেলে আর দেখে ।আর যেহেতু উপরে মহিলা টা ছিল উনি যদি খারাপ ভাবে আর বলে দেয় আর নানা মামি যদি আসে তাই দরজা খোলা রাখছি ।যেহেতু দরজা খোলা ছিল যে কেউ এখানে প্রবেশ করতে পারবে আর আমাদের পাশ দিয়ে যে কেউ গেলেও দেখার সুযোগ ছিলো আমাদের । আর ঔ মহিলা টা চাইলেইও প্রবেশ এর সুযোগ ছিলো ।নানা মামি যদি আসে এই ভেবে ও ভয়ে ছিলাম কেননা প্রবেশ করার সুযোগ ছিল । নানা বা মামি ও তো প্রবেশ এর সুযোগ ছিলো ।
মুফতি সাহেব কে জানালে বলে খালওয়াত হবে না কেননা দরজা খোলা ছিল আর যে কেউ প্রবেশ এর সুযোগ ছিল
উপুরুক্ত সকল স্পর্শ এর মাঝে একটা ভয় কাজ করতো কেননা যে কেউ এসে যাবে বলে এই ভয় টা সব সময় ছিলো ।
দয়া করে উপরে উল্লেখিত সব কিছু পড়ে আমাকে উত্তর দিবেন , কারন আপনার উত্তর পেয়েই আমি আবার আমার স্ত্রীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হব। জাযাকাল্লাহুখাইরান ।আল্লাহ মহান ।