জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ دَلَكَ بِهَا الْحَائِطَ ثُمَّ غَسَلَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ غَسَلَ رِجْلَيْهِ.
মাইমূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৬০২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)
,
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ مَيْمُونَةُ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِلْغُسْلِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى شِمَالِهِ فَغَسَلَ مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَحَوَّلَ مِنْ مَكَانِهِ فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ
ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইমূনাহ্ (রাযি.) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দু’বার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন। অতঃপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৫৭,২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ফরজ গোসল আদায় হয়ে গিয়েছে।
,
ফরজ গোসলের শুরুতে অযু করা সুন্নাত।
এটি ফরজ বিধান নয়।
তাই আপনার ফরজ গোসল আদায় হয়ে গিয়েছে।
পবিত্রতা অর্জন হয়েছে।
পুনরায় অযু করে গোসল করতে হবেনা।
আপনি পূর্ণ পবিত্র হয়ে গিয়েছেন।
আরো জানুনঃ
(০২)
নাপাক কাপড় যখন আলাদা ভাবে ট্যাপে ধুয়ে নিয়েছিলেন,সেই সময়ে নাপাক কাপড় কয়বার ধুয়েছিলেন?
যদি আপনি শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তিন বার ধুয়ে প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে থাকেন,তাহলে তো সেটি তখন থেকেই পাক হয়ে গিয়েছে।
এর পর অন্যান্য পাক কাপড়ের সাথে বালতিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে ভিজায় রাখলে বালতির সকল কাপড় পাকই থাকবে।
নাপাক হয়ে যাবেনা।
,
আর যদি আপনি নাপাক কাপড় যখন আলাদা ভাবে ট্যাপে ধুয়ে নিয়েছিলেন,সেই সময়ে নাপাক কাপড় শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তিন বার ধুয়ে প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে না থাকেন,তাহলে সেটি তখনও নাপাকই ছিলো।
এর পর অন্যান্য পাক কাপড়ের সাথে বালতিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে ভিজায় রাখলে বালতির সকল কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
(০৩)
সেই স্থান বিসমিল্লাহ বলে সতর্কতামূলক ধুয়ে নিলেই পবিত্রতা অর্জন হবে।
এক্ষেত্রে বিসমিল্লাহ বলা আবশ্যকীয় নয়।
তবে বিসমিল্লাহ বললে আল্লাহর নাম নেওয়ার ছওয়াব হবে।