আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
341 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (17 points)

আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।https://ifatwa.info/29445/ এর উত্তরে আপনি বলেছেন আকিদা ঠিক রেখে শিরকি বিষয় পড়া যাবে।

শায়েখ আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ সব কিছুর নিয়ন্ত্রক,তাঁরই হুকুমে সব হয়,আমাদের শরীরের কোষীয় বিভিন্ন একক মাধ্যম মাত্র।

১)শায়েখ আমি যখন পড়বো যে,জিন বংশগতির নিয়ন্ত্রক বা এমন শিরকি কিছু তখন কি ওই যে আমার আকিদা টা মনে আনতে হবে????ভাবনায় আনিতে হবে?মানে আমি বলতে চাচ্ছি,  আল্লাহ এক আদ্বিতীয়,এটা আমাদের সবার বিশ্বাস, কিন্তু সব সময় এটা আমাদের ভাবনায় থাকে না।ভাবনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জিনিস থাকে আর বিশ্বাসের জায়গা থেকে আমরা তাওহীদ এ বিশ্বাসি।

২) "প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ডিএনএ নিজের হুবুহু অণুলিপি তৈরি বা সৃষ্টি করতে পারে" এটা যখন পড়ি তখন আমি আমাদের বইয়ের ছবি দিয়ে কল্পনা করি একটা ডিএনএ ২ ভাগ হয়ে দুইটা হচ্ছে।
আচ্ছা শায়েখ,এই কথটাও শিরকি??আর এগুলো পড়ার সময় আমি এভাবেই কল্পনা বা ভাবি প্রক্রিয়াটা যেভাবে হয়।
তবে আমার বিশ্বাস একি থাকে যে, আল্লাহর ইচ্ছাতেই সব হয়(মুলত শায়েখ পড়ার সময় তো পড়ার বিষয় গুলোই ব্রেনে থাকে, তাওহিদের ব্যপার গুলো আলাদা করে ব্রেনে আসে না তাই বিশ্বাস চেঞ্জ ও হয় না)

উল্লেখ্যঃ আমি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত। আরো আগে আমি রিয়া(লৌকিকতা) নিয়ে প্রচুর ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ছিলাম।আমি নিয়ত ঠিক করতাম আল্লাহর সন্তুষ্টির, পরে আবার মনে অন্য বিষয় আসতো, মনে হতো নিয়ত ঠিক নেই।আমি আবার নিয়ত ঠিক করতাম এভাবে করে প্রচুর পেরেশান হতাম।দরজা না আটকিয়ে নামায পড়তে পারতাম না এমন কি সবার আগোচরে দ্বীনি ইলম অর্জন করতেও বিভিন্ন নিয়তের ভাবনা মনে আসতো, মনে হতো রিয়া হচ্ছে, নিয়ত ঠিক নেই।এভাবে করে মাথা ব্যথা করতো প্রচুর আর আমি পড়তেও পারতাম না এভাবেই একটা দ্বীনি কোর্স করতে গিয়ে ঝরে পরেছি!!

আমার মনে হচ্ছে এখানেও কিছু ওয়াসওয়াসা শয়তান আমাকে দিচ্ছে শায়েখ।আমি তো আকিদা ঠিক করেই পড়তে বসি তারপর যখন পড়ি তখন কে যেন বলে,"এই তোমার বিশ্বাস ঠিক আছে?এটা দ্বারা তুমি বুঝ ইত্যাদি "
শায়েখ আমার কাছে,"চিনি আর পানি মিলে চিনির পানি তৈরি করে, প্রাকৃতিক গ্যাস জ্বালানির যোগান দেয় এইসবও শিরক মনে হয়।

শায়েখ প্লিয আমাকে কিছু পরামর্শ দিন।

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আকীদা ঠিকই রয়েছে।
আপনি কেবল আল্লাহ তায়ালাকেই একমাত্র এ সকল ক্ষমতার অধিকারী হিসেব মানেন,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়াদী আপনি পড়তে পারেন।
মুখস্ত করতে পারেন,লিখতে পারেন।
আপনার আকীদা যেহেতু ঠিকই রয়েছে,পরিবর্তন হয়নি। 
তাই প্রত্যেকটি বিষয় পড়ার  সময়ে আপনার মাথায় আল্লাহই এ সব কিছুর মূল,এটি বারবার মাথায় আনার প্রয়োজনীয়তা নেই।
আপনি প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে এ জাতীয় লেখা পড়তে পারেন।  


আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন
 
مَنۡ کَفَرَ بِاللّٰہِ مِنۡۢ بَعۡدِ اِیۡمَانِہٖۤ اِلَّا مَنۡ اُکۡرِہَ وَ قَلۡبُہٗ مُطۡمَئِنٌّۢ بِالۡاِیۡمَانِ وَ لٰکِنۡ مَّنۡ شَرَحَ بِالۡکُفۡرِ صَدۡرًا فَعَلَیۡہِمۡ غَضَبٌ مِّنَ اللّٰہِ ۚ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿۱۰۶﴾

কেউ বিশ্বাস করার পরে আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং অবিশ্বাসের জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখলে তার উপর আপতিত হবে আল্লাহর ক্রোধ এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি; তবে তার জন্য নয়, যাকে অবিশ্বাসে বাধ্য করা হয়েছে, অথচ তার চিত্ত বিশ্বাসে অবিচল।
(সুরা নাহল ১০৬ নং আয়াত।)
,

ইমাম নববী রহঃ বলেনঃ
 
قول الإمام النووي رحمه الله: "من نقل الشهادتين حكايةً بأنْ يقول: سمعت فلاناً يقول: لا إله إلا الله، محمد رسول الله، فهذا لا يصير مسلماً بلا خلاف؛ لأنه حاكٍ، كما لا يصير المسلم كافراً بحكايته الكفر" [المجموع 3/ 99].
কোনো কাফের  যদি নকলের ভিত্তিতে শাহাদত কালেমা পাঠ করে,তাহলে সে মুসলিম হবেনা।
কেননা সে শুধু বর্ণনা কারী।
অনুরুপ ভাবে কেহ যদি বর্ণনার জন্য কুফরী কালাম বলে,তাহলেও সে কাফের হয়না। 

আরো জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...