আসসালামু আলাইকুম শ্রদ্ধেয় শায়েখ।
আপনি https://ifatwa.info/29062/ এর উত্তরে বলেছিলেন বইয়ে শিরকি কিছু থাকলে তা পড়লে বা লিখলে সমস্যা হবে না।
বেয়াদবি মাফ করবেন সম্মানিত শায়েখ,আমার লেখা টা মেহেরবানি করে পুরোটা পড়িয়েন।
আমি এনসিওর হতে চাচ্ছি এগুলো কি শিরকি কথা?মানে জেনে বুঝে বললে আর মাফ হবে না?এরকম হলে তো
" ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,দুধ এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত রাখে, আম্মু সবসময় মন ভালো করে দেন, অমুক বই আমার জীবন পাল্টে দিয়েছে" এগুলো শিরকি মনে হয়।
সম্মানিত শায়েখ, উল্লিখিত কোন ক্ষেত্রেই তো সৃষ্টি কর্তার স্থানে নিয়ে কিছু বলা হয়নি।শুধু এই জিনিস বা উপাদান গুলো দেহে এমন কাজ করে তাই বোঝানো হয়েছে।তবুও৷ কি শিরিক হবে?
যদি না হয় শ্রদ্ধেয়,শায়েখ, আমি জানতে চাচ্ছি 'জিন' যেহেতু বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে আর একই জিনের বিভিন্ন সংস্করণ ও একই বৈশিষ্ট কে ভিন্ন রুপে প্রকাশ করে। বিজ্ঞানের মতে সংস্করণ এর ভিন্নতার জন্যেই বৈশিষ্ট ও ভিন্ন হয়।তাহলে সম্মানিত শায়েখ, "জিন আমাদের বৈশিষ্ট্যের নিয়ন্ত্রণ করে " এটা বললে কি শিরক হবে?যদি হয়, তাহলে এটা কে তো অন্য ভাবে যেমন(জিন বৈশিষ্ট ধারণ করে) এমনো তো বলা যায়।এভাবে লেখা বা পড়া কি জরুরি?
এইরকম আরো কয়েকটা সন্টেন্স হিচ্ছে"কঙ্কাল তন্ত্র আকৃতি দান করে,মানুষ কৃত্রিম প্রজনন ঘটিয়ে কাঙ্খিত বৈশিষ্টের উদ্ভিদ সৃষ্টি করে"
১)সম্মানিত শায়েখ উল্লিখিত সব কথাই তো আপাত দৃষ্টিতে বলা হয়েছে, সৃষ্টিকর্তার স্থানে নিয়ে তো বলা হয় নি তবুও কি শিরকি হবে কথা গুলো?
২) শ্রদ্ধেয় শায়েখ, বইয়ে তো এমন অনেক লাইন থাকে এগুলো চিহ্নিত করে(এগুলোর ক্ষেত্র আমার আকিদা ঠিক করে) পড়তে গেলে তো সহজে মূখস্ত হয় না। আমি যদি আপাত দৃষ্টি তেই এগুলো মেনে নি(স্রষ্টার লেভেলে গিয়ে না) তাহলে কি সমস্যা হবে?যেহেতু একটা জিনিস সঠিক মেনে নিলে বুঝতে ও মনে রাখতে অনেক সুবিধা হয়।
৩) শায়েখ উপরের কঙ্কালতন্ত্র আকৃতি দেয় না বলে তো কঙ্কালতন্ত্র দিয়ে আকৃতই গঠিত হয়েছে, এমন ভাবে লেখা যায় পড়াও যায় মিনিং একি থাকে।এভাবে ভাষা চেঞ্জ করে বলা কি জরুরী?
শ্রদ্ধেয় শায়েখ,এসব নানা চিন্তায় আমার মাথা ব্যথা করে, আল্লাহ ভালো জানেন একজন বিজ্ঞ আলিমের এ ব্যপারে আন্তরিক পরামর্শ কতটা দরকার আমার জন্যে।আমি পড়তে পারছি না অথচ পরীক্ষা কয়দিন পরে, খারাপ করলে অনেক ঝামেলা হবে,দ্বীন পালন অনেক কঠিনতর হয়ে যাওয়ার তীবয আশঙ্কাআছে।