ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
فَبِمَا رَحْمَةٍ مِّنَ
اللَّهِ لِنتَ لَهُمْ ۖ وَلَوْ كُنتَ فَظًّا غَلِيظَ الْقَلْبِ لَانفَضُّوا مِنْ
حَوْلِكَ ۖ فَاعْفُ عَنْهُمْ وَاسْتَغْفِرْ لَهُمْ وَشَاوِرْهُمْ فِي الْأَمْرِ ۖ
فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِينَ
আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন পক্ষান্তরে আপনি যদি রাগ ও
কঠিন হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো। কাজেই আপনি তাদের
ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করুন এবং কাজে কর্মে তাদের পরামর্শ
করুন। অতঃপর যখন কোন কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেন, তখন আল্লাহ তা’আলার উপর ভরসা করুন আল্লাহ
তাওয়াক্কুল কারীদের ভালবাসেন। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং- ১৫৯)
প্রিয় নবীজী ﷺ পরামর্শ করে
কাজ করতেন। অথচ আমরা জানি যে, প্রিয় নবীজী ﷺ এর উপর ওহী
নাযিল হত।
পরামর্শ করে কাজ করা সুন্নত। দ্বীনি হোক বা দুনিয়াবি, আমাদের উচিত পরামর্শ করে কাজ করা, এই সুন্নতের উপর আমল করা। যথাসম্ভব
মুত্তাক্বী ও দ্বীনদার ব্যক্তিবর্গের সাথে পরামর্শ করা উচিত। সুন্নত অনুযায়ী আমলেই
পার্থিব ও পরকালীন কল্যাণ নিহিত রয়েছে। একজন মুমিন এ বিশ্বাসই লালন করে ও সুন্নত
অনুযায়ী আমল করে চির সফলতা অর্জন করে থাকে।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পিতা মাতা যদিও সন্তানদের সকল
বিষয়ে জানার অধিকার রাখে না তবুও সন্তানদের কর্তব্য হলো বড় কিছুর সিদ্ধান্ত নিতে হলে
একা একা না নিয়ে পিতা মাতার সাথে পরামর্শ করে নেওয়া।