আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
181 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (101 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম,

কুরবানী:

১)পূর্ববর্তী একটি ফাতওয়াতে বলেছিলেন যে ,কুরবানীর পশুর কোনো অংশ বিক্রি জায়েজ নয়।তাহলে আমাদের দেশে কোরবানীর পশুর চামড়া যে অল্প লাভে বা বিনা লাভে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন মাদরাসার কাছে ,তাহলে কি তা নাজায়েজ?

২) কুরবানীর গোশত তিনভাগ করা কি ওয়াজিব নাকি সুন্নাত? কেউ যদি তিনভাগ না করে সম্পূর্ণটা নিজের কাছে রাখে তাহলে কি সে গুনাহগার হবে?আবার নিজের বা নিজের পরিবারের জন্য কিছু না রেখে সম্পূর্ণটা দান করে দিলে সে কি গোনাহগার হবে? যদিও এতে তার পরিবার আপত্তি করুক না কেন।

স্বামী-স্ত্রীর অধিকার:

১)স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কি কি ফরজ,ওয়াজিব ও সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ কাজ রয়েছে?একইভাবে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কি কি ফরজ,ওয়াজিব ও সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ কাজ রয়েছে?

২) স্বামীর অর্জিত টাকায় স্ত্রী,সন্তানদের কতটুকু অধিকার রয়েছে? স্ত্রী,সন্তানদের অধিকার মিটিয়ে দেয়ার পর স্বামীর আয়কৃত অতিরিক্ত টাকার হকদার কি স্বামী ব্যতীত পরিবারের অন্যকেউ হতে পারে,স্বামীর জীবদ্দশায়?

৩) স্বামী কি স্ত্রীকে তার অর্জিত টাকা কোথায় খরচ করে,এ হিসাব দিতে বাধ্য? যদিও সে স্ত্রী-সন্তানদের অধিকার মিটিয়ে দেয়,আর অধিকার না মিটালে কি টাকার হিসাব দিতে বাধ্য?

৪) স্ত্রীর-সন্তানদের অধিকার মেটানোর অতিরিক্ত টাকা যা থাকে স্বামীর কাছে তার হিসাব জানতে চাওয়ার অধিকার কি আছে স্ত্রীর?বা অতিরিক্ত টাকা হালাল কোনো কাজে ব্যয় করতে বাঁধা দেয়ার ক্ষমতা কি স্ত্রীর আছে?আর স্বামী হারাম কাজে টাকা পূর্বে ব্যয় করেছে এবং এখনও করতে পারে এ সন্দেহে তার কাছে টাকার হিসাব কি স্ত্রী চাইতে পারে বা স্বামী কি এক্ষেত্রে হিসাব দিতে বাধ্য?

নজরদারি বিষয়ক:

আমার অনুপস্থিতিতে আমার অনুমতি ব্যতীত কেউ আমার ফেসবুকে ঢুকে ঘাটাঘাটি করে কি না এ বিষয় জানার জন্য মোবাইলের একটা সিস্টেম আছে।এভাবে ওই সিস্টেম দিয়ে নজরদারি করা কি জায়েজ আমার জন্য ?

প্রশ্নগুলোর দালিলিক বিশ্লেষণ না দিয়ে কেবল সরাসরি উত্তর দিলেও হবে।জাযাকুমুল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


কুরবানী;
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

لَنۡ یَّنَالَ اللّٰہَ لُحُوۡمُہَا وَ لَا دِمَآؤُہَا وَ لٰکِنۡ یَّنَالُہُ التَّقۡوٰی مِنۡکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ سَخَّرَہَا لَکُمۡ لِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ ؕ وَ بَشِّرِ الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۳۷﴾ 
আল্লাহর কাছে পৌছায় না সেগুলোর গোশত এবং রক্ত, বরং তার কাছে পৌছায় তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এদেরকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এজন্য যে, তিনি তোমাদেরকে হেদায়াত করেছেন; কাজেই আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্মপরায়ণদেরকে।
(সুরা হজ্জ ৩৭)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
“হে আল্লাহ! তোমারই সম্পদ এবং তোমারই জন্য উপস্থিত”। [আবু দাউদঃ ২৭৯৫]

কুরবানীর পশুটি শুধু মাত্র আল্লাহর জন্য।
তাই এর চামড়া বিক্রয় করা যাবেনা।
হ্যাঁ কেহ যদি বিক্রয় করে,তাহলে সেটির মূল্য গরিব মিসকিনকে দান করে দিবে। 
,
(০২)
তিন ভাগ করা মুস্তাহাব তরীকা।
এটি কোনো আবশ্যকীয় বিধান নয়।
,
কেউ যদি তিনভাগ না করে সম্পূর্ণটা নিজের কাছে রাখে তাহলে সে গুনাহগার হবেনা।
,
কেহ যদি নিজের বা নিজের পরিবারের জন্য কিছু না রেখে সম্পূর্ণটা দান করে দেয়,তাহলেও সে গোনাহগার হবেনা।
,
স্বামী-স্ত্রীর অধিকার:

(০১)
স্বামী স্ত্রীর হক সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ   

(০২)
স্ত্রী,নাবালেগ ছেলে সন্তান,বিবাহের আগ পর্যন্ত কন্যা সন্তানের প্রয়োজনীয় অন্য বস্ত্র বাসস্থান এর ব্যবস্থা করতে হবে।

 স্ত্রী,সন্তানদের অধিকার মিটিয়ে দেয়ার পর স্বামীর আয়কৃত অতিরিক্ত টাকার হকদার  স্বামী ব্যতীত পরিবারের অন্য কেউ হতে পারবেনা।
হ্যাঁ পিতা মাতা গরিব হলে চলার সামর্থ না রাখলে তাদেরকেও নিজ প্রয়োজন অতিরিক্ত খরচ দিতে হবে। 
   
(৩.৪)
তিনি বাধ্য নন।
স্ত্রী জানার বা বাধা দেওয়ার অধিকার রাখেনা।
,
(০৫)
হ্যাঁ আপনার জন্য ঐ  সিস্টেম দিয়ে নজরদারি করা  জায়েজ আছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...