আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
559 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম।ইসলামী শরিয়তে কোন কবুল বলা ছাড়াই শুধুমাত্র কাবিন নামায় স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিয়ে সহীহ হবে কি? ছেলেমেয়ে দুজন কি স্বামী স্ত্রী হবে?শুধু কাবিননামায় স্বাক্ষরের গুরুত্ব কি? এ সম্পর্কে ইসলামী শরিয়ত কি বলে?

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল  আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দু’জন মুসলিম পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা স্বাক্ষীর সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষ পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে।

ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}

বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য জরুরি হল, দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব ও কবুল পাওয়া যাওয়া। যদি এর কোনো একটি না পাওয়া যায়, তাহলে বিয়ে শুদ্ধ হবে না। তবে আলহামদুলিল্লাহ দ্বারা যেহেতু কবুলের ভাবার্থ বুঝা যায় তাই আলহামদুলিল্লাহ দ্বারাও বিয়ে হয়ে যাবে। (খুলাসাতুল ফাতওয়া ২/৩)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 শুধু কাবিননামায় স্বাক্ষর করলেই বিয়ে হয় না। কাবিন বা নিকাহনামা একটি সরকারি নিবন্ধন মাত্র, যা বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর পূরণ করা নিয়ম। তাতে বর-কনে ও সংঘটিত বিয়ে সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও বিবরণ থাকে। বিয়ের আকদ করা ছাড়া তা পূরণ করাই নিয়মবহির্ভূত। সুতরাং তাদের ঐ বিবাহ সহীহ হয়নি।

 বিবাহ সংঘটিত হওয়ার জন্য দুজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ কিংবা একজন পুরুষ ও দুজন নারীর সামনে মৌখিকভাবে ইজাব-কবুল করা শর্ত। মৌখিকভাবে ইজাব-কবুল না করে শুধু লিখিতভাবে ইজাব-কবুল করলে বিবাহ সংঘটিত হয় না। তাই শুধু কাবিন নামায় স্বাক্ষরের দ্বারা তাদের ঐ বিবাহ সহীহ হয়নি। এতদিন তাদের একত্রে থাকা অবৈধ হয়েছে।

এখন যদি তারা পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায় তাহলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে মৌখিক ইজাব-কবুলের মাধ্যমে বিবাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের মাঝে বিবাহের জন্য ইদ্দত পালন করা লাগবে না। বরং যে কোনো মুহূর্তে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে। (আদ্দুররুল মুখতার ৩/১২; ১/২৮০; দুরারুল হুককাম ফী শরহি গুরারিল আহকাম ১/৩২৭আলবাহরুর রায়েক ৩/১০৬; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/৪৮৫ ,ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৭০,)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...