بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দু’জন মুসলিম পুরুষ
অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা স্বাক্ষীর সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষ
পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে।
ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-
فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر
وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)
অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর
শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন
মহিলা সাক্ষি হতে হবে,
যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার
উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯,
ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য জরুরি হল, দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে
ইজাব ও কবুল পাওয়া যাওয়া। যদি এর কোনো একটি না পাওয়া যায়, তাহলে
বিয়ে শুদ্ধ হবে না। তবে আলহামদুলিল্লাহ দ্বারা যেহেতু কবুলের ভাবার্থ বুঝা যায় তাই
আলহামদুলিল্লাহ দ্বারাও বিয়ে হয়ে যাবে। (খুলাসাতুল ফাতওয়া ২/৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
শুধু কাবিননামায় স্বাক্ষর করলেই
বিয়ে হয় না। কাবিন বা নিকাহনামা একটি সরকারি নিবন্ধন মাত্র, যা
বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর পূরণ করার নিয়ম। তাতে বর-কনে ও সংঘটিত
বিয়ে সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও বিবরণ থাকে। বিয়ের আকদ করা ছাড়া তা পূরণ করাই নিয়মবহির্ভূত।
সুতরাং তাদের ঐ বিবাহ সহীহ হয়নি।
বিবাহ সংঘটিত হওয়ার
জন্য দুজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ কিংবা একজন পুরুষ ও দুজন নারীর সামনে মৌখিকভাবে ইজাব-কবুল
করা শর্ত। মৌখিকভাবে ইজাব-কবুল না করে শুধু লিখিতভাবে ইজাব-কবুল করলে বিবাহ সংঘটিত
হয় না। তাই শুধু কাবিন নামায় স্বাক্ষরের দ্বারা তাদের ঐ বিবাহ সহীহ হয়নি। এতদিন
তাদের একত্রে থাকা অবৈধ হয়েছে।
এখন যদি তারা পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায় তাহলে সাক্ষীদের
উপস্থিতিতে মৌখিক ইজাব-কবুলের মাধ্যমে বিবাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের মাঝে বিবাহের
জন্য ইদ্দত পালন করা লাগবে না। বরং যে কোনো মুহূর্তে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।
(আদ্দুররুল
মুখতার ৩/১২; ১/২৮০; দুরারুল হুককাম ফী
শরহি গুরারিল আহকাম ১/৩২৭; আলবাহরুর রায়েক ৩/১০৬; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/৪৮৫ ,ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৭০,)