বিসমিল্লাহির রাহানির রাহিম।
জবাবঃ
https://www.ifatwa.info/6154 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
বর বা নববধূকে শরীরে হলুদ মাখার কথা হাদীসে পাওয়া যায়,যেমন হযরত জাবের রাযি এর কাপড়ে হলুদের দাগ দেখে রাসূলুল্লাহ সাঃ জিজ্ঞেস করলেন,হে জাবের! তুমি কি বিয়ে করেছ!
এ হলুদ মাখা ছিল,নিতান্তই নিজস্ব ব্যাপার বা নিজে নিজে মাখা।কিন্তু আমাদের সমাজে যে গায়ে হলুদ হয়,সেটা সম্পূর্ণ বিজাতীয় হিন্দুওয়ানি সংস্কৃতি। সুতরাং গান-বাজনা ছাড়া হলেও এমন অনুষ্টানের কোনো বৈধতা নাই।এটা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম। হাদীস শরীফে এসেছে :
ﻣﻦ ﺃﺣﺪﺙ ﻓﻲ ﺃﻣﺮﻧﺎ ﻫﺬﺍ ﻣﺎ ﻟﻴﺲ ﻣﻨﻪ ﻓﻬﻮ ﺭﺩ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻭﻣﺴﻠﻢ ،
অনুবাদঃ যদি কেউ আমাদের মধ্যে কোনো(ধর্মীয়) নতুন জিনিষ সৃষ্টি করে তাহলে সে আমাদের মধ্য থেকে নয়।
ইবনে রজব হাম্বলী রাহ,উক্ত হাদিসের ব্যখ্যা করে বলেনঃ
ﻓﻜﺬﻟﻚ ﻛﻞ ﻋﻤﻞ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻋﻠﻴﻪ ﺃﻣﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻮﻟﻪ ، ﻓﻬﻮ ﻣﺮﺩﻭﺩ ﻋﻠﻰ ﻋﺎﻣﻠﻪ ،
প্রত্যেক ঐ আমল যা আল্লাহএবং রাসুলুল্লাহ সাঃএর পদ্ধতি সমর্থিত নয়, তা বর্জিত ও পরিত্যাজ্য।(জামেউল উলূম ওয়াল হিকাম-১৭৬)
(৪)সর্ব প্রথম অমুসলিমরাই দিবস সমূহকে প্রথাসিদ্ধ করেছে,আবিস্কার করেছে,আর অমুসলিমদের অনুসরণ কখনো বৈধ নয়,অন্যদিকে এ দিবস সমূহকে উদযাপন করতে যেয়ে নামায-রোজা তরকসহ অনেক শরীয়ত বিরোধী কাজে লিপ্ত হতে হয় যা শেষপর্যন্ত ঈমান বিধ্বংসী ও মানবতা বিরোধী কাজে মানুষকে পৌঁছে দেয়।
হাদীসে অমুসলিমদের আদর্শ চাল চলন কে অনুসরণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺒَّﻪَ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ
অনুবাদঃহযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি অন্য গোত্রে (অমুসলিম)-র অনুসরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।{আবু-দাউদ-৩৫১২}