بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
আমরা https://ifatwa.info/8205/?show=8205#q8205 ফতওয়াতে
উল্লেখ করেছি যে,
শরীয়তের
বিধান অনুযায়ী যেসব ভিডিও দেখা জায়েজ নয়,সে সব ভিডিও
আপলোড দেওয়া,তা থেকে
ইনকাম করা, সেসব ভিডিও
আপলোড করে ইউটিউব থেকে রিওয়ার্ড হিসেবে ভিডিও
ক্রিয়েটরদের প্লে বাটন নেওয়া কোনোটাই জায়েজ নেই।
অন্যায়
কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা
করাও বৈধ নয়। তাই কোনো নাজায়েজ ভিডিও আপলোড করে
ইউটিউব টাকা ইনকাম করা ও রিওয়ার্ড হিসেবে ভিডিও ক্রিয়েটরদের
প্লে বাটন নেওয়া জায়েজ নেই।
আল্লাহ
তায়ালা বলেন
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ
وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ
اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম
ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা
করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
★★আমাদের জানতে হবে, ইউটিউব
এর মাধ্যমে যে টাকা আয় করা হয় তার সোর্স কী, কেন আমাকে
গুগল টাকা দিচ্ছে!
মূলতঃ গুগলের
একটি বিশেষ সার্ভিস–গুগল এডসেন্স। এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন অর্থের
বিনিময়ে ইউটিউবসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করে। আর ওখান থেকে একটা নির্ধারিত একটা
অংশ তারা ইউটিউবারদের দিয়ে থাকে।
সুতরাং
বিজ্ঞাপনগুলো যদি অশ্লীল ও হারাম পণ্যের হয় তাহলে তা থেকে প্রাপ্ত অর্থ হালাল হবে না।
বরং, হারাম অর্থ
হওয়ার পাশাপাশি হারামের প্রচার ও সহযোগিতা করার গোনাহ হবে।
মহান আল্লাহ
বলেন,
إِنَّ
الَّذِيْنَ يُحِبُّوْنَ أَنْ تَشِيْعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِيْنَ آمَنُوْا
لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ-
‘যারা মুমিনদের
মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য ইহকালে
ও পরকালে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’। (নূর
১৯)
নু'মান ইবনে
বশির রাযি থেকে বর্ণিত,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝَ
ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡَ ﺑَﻴِّﻦٌ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸْﺘَﺒِﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻦَّ
ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ، ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ
، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ، ﻛَﺎﻟﺮَّﺍﻋِﻲ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ
ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ، ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳَﺮْﺗَﻊَ ﻓِﻴﻪِ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ
ﻭَﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ
নিশ্চয়ই
হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক
বিষয়, অনেক লোকই
সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে
নিরাপদে রাখে, আর যে লোক
সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত
চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে
সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান
আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে, রেখো, দেহের মধ্যে
এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে
যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো 'কালব' হৃদয়।(সহীহ
মুসলিম-১৫৯৯)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্পন্সরকৃত
কোম্পানির পণ্যের ভিডিও যদি শরয়ী সীমারেখার আওতায় থাকে,জায়েজ হয়, তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে টাকা আয় করা জায়েজ হবে। অন্যথায় জায়েজ হবেনা।
★ বিজ্ঞাপনে
মিউজিক ও বেপর্দা নারী থাকলে গুনাহ কোম্পনী কর্তৃপক্ষেরও হবে আবার যেই ব্যক্তি উক্ত
নাজায়েয বিজ্ঞাপন তৈরী করতে উক্ত কোম্পানীকে সাহায্য করেছে তারও হবে। কারণ, সে গোনাহের কাজে সহযোগিতা
করেছে।